সাহিদা রহমান মুন্নী
কবিতা সমুহঃ
পরে?
আপন করলে আপন বললে,
আপন মানুষ হয়না-
একটা মানুষ একটা জীবন,
আপন কভুও রয়না!
স্বার্থ নিয়ে কাছে আসে,
স্বার্থ শেষেই দূর –
পুড়ছো তুমি মুখোশ পরে,
সুখের সিসিম পুর!
আগা গোড়ায় সবটা গলদ,
মানবতায় ঘুন –
করছো লিলায় নিঠুর খেলায়,
রাত দুপুরে খুন!
ফানুস তুমি মানুষ হবে,
ফিরবে আপন ঘরে –
আর কতোটা বছর যাবে,
কিংবা জনম পরে–?
................................................................................................
সব
দিন না!
কোন কোন দিন মন খারাপ হয়,
সব দিন না –
কোন কোন দিন হারিয়েও রয়,
সব দিন না !
কোন কোন দিন নিজের অজান্তেই ভুল করি খুব,
সব দিন না-
কোন কোন দিন কষ্টের সাতকাহনে চুপিসারে
দেই ডুব,
সব দিন না!
কোন কোন দিন হাসি,
সব দিন না –
কোন কোন দিন শূন্যে ভাসি,
সব দিন না!
কোন কোন দিন ভালোকেও মন্দ লাগে মন্দকেও
ভালো,
সব দিন না –
কোন কোন দিন নিকষ আঁধারেখুঁজেপাই সফেদ
আলো,
সব দিন না!
কোন কোনদিন চা আর কফির চুমুকেশুনি শতাব্দীর
গান,
সব দিন না-
কোন কোন দিন অধরা বাঁশির সুরে উন্মাদ
হয় জান,
সব দিন না!
কোন কোন দিন বালুকা বেলায় নূপুরহিন হাঁটতে
মন চায়,
সব দিন না –
কোন কোন দিন নোনা জলের নদী সাগর হয়ে
যায়,
সব দিন না!
কোনকোনদিন গুনভাগযোগকরে অংকেরহিসেব মিলেনা,
সব দিন না –
দূরে থেকেও ছিলে কাছে অথচ কাছে থেকেও
ছিলেনা,
সব দিন না!
আমার চেতন সাধন এবং প্রিয়জন,তুমি ছাড়া
কেউ?
এমন, কোনদিন না-
অচেতন অভিমানে অহেতুককষ্টবানে ঝড়তুলে
শান্ত ঢেউ,
সব দিন না!!!
................................................................................................
এখোন রাত আসে—
এখোন রাত আসে,অবসাদ দেহটা দ্ব্যর্থহিন ভাবে,ঘুমের গর্ভে লেলিয়ে দেবার জন্য নয়,রাত আসে ক্লান্তিহীন এপাশ-ওপাশ চারিপাশ জুড়ে, ভাবনার সফেদ সাদা সমুদ্রের সবটকু সিক্ততায় অবিরাম তোমায় ভাবার জন্যে! এখোন রাত আসে,বিছানার নীথর চাদরে, অসাড় নিজেকে ছড়িয়ে দেবার জন্য নয়, রাত আসে,হাজার কাব্যের মহাকাব্য সূচনায়,তোমার স্বপ্নিল বুকে,আমার অস্তিত্ব খুজেঁ নেবার এতোটুকু আশায়!
এখোন রাত আসে,জীবন থেকে জীবনে সাত-পাঁচ
বাহারি অংকের দরকষাকষিতে, বিয়োগ হয়ে যাওয়া কোন সংখ্যার জন্য নয়,
রাত আসে,শুধুই যোগ আর যোগের সংমিশ্রণে
বিরাট একটি প্রাপ্তির সূচনায় নিমগ্ন হওয়ার জন্যে!
এখোন রাত আসে,পথের শেষে পথ পাওয়ার জন্য
নয়, রাত আসে,কষ্টের সাতকাহনে মোড়া প্রস্ফুটিত গোলাপের সুরভিত সৌরভে মৌনতা চূর্ণ করার
জন্য! এখোন রাত আসে,অলিক স্বপ্নের মতো জীবন হরিণের পিছু ছুটে যাবার জন্য নয়, রাত আসে,একটু
একটু করে,মৃদু মৃদু পায়ে মৃত্যুর সাথে চিরন্তন আলিঙ্গনের জন্য!!এখোন রাত আসে——
................................................................................................
হতে চাই না,,,
সাহিদা রহমান মুন্নী
কারও শিরোনাম হতে
চাই না
হতে চাই না কারও বেদনার রঙ
যতোটা কষ্ট আমার আমারই থাকুক
সমস্ত দুঃখের দুঃখ নিয়ে
কাঁদুক আ ভয়মার পৃথিবী কাঁদুক।
................................................................................................
ইন্দ্রজাল
মুগ্ধ মায়ায় প্রেমের ছায়ায়,
দিলে যখন ঠাঁই-
চোখের তারায় নিবিড় ভাষায়,
তোমায় কাছে পাই।
দিন চলে যায় দিনের ঘরে,
রাত চলে যায় রাতে -
বন্ধু তুমি রও কাছে রও,
ঘুম হীন আঁখি পাতে ।
একটা প্রহর হাজার বছর,
থাকছো যখন দূরে -
পাখনা গুটায় মনের ময়ূর,
ব্যথার বিধুর সুরে ।
এ'কোন মায়ার ইন্দ্রজালে,
ঘোর তমসায় ভাবি-
তুমি আমার মন্দ ভালো,
স্বপ্ন সুখের চাবি ।।
................................................................................................
"ইচ্ছের আঙ্গিনায়"
আমার মনের বসত ভিটায়,
তোমার বসবাস-
তবুও তোমায় নিত্য হারাই,
বিরাণ বারোমাস!
হালের হাওয়ায় পাল লেগেছে,
এসেছে বৈশাখ -
যুদ্ধ জীবন জোয়ার ভাটের,
ইচ্ছেরা নির্বাক!
নাইবা হলো খোঁপায় গোজা,
শুভ্র বেলি ফুল-
কিংবা রঙিন শাড়ী - চুড়ি,
নাকে নোলক দুল!
তোমার হয়ে স্বপ্ন বাঁচে,
স্বপ্ন মরে রোজ-
সুখ বলয়ে নিছক ছকে,
কে'কার রাখে খোঁজ?
বৈশাখ আসে বৈশাখ মাসে,
বৈশাখ চলে যায় -
ইচ্ছে গুলো গুমরে কাঁদে,
ইচ্ছের আঙিনায়!!
................................................................................................
কেউ কি'তা বলবে?
রক্ষক- ই -ভক্ষক,
কে করবে রক্ষা-
চারিদিকে মহামারি,
মহারোগ যক্ষা!!
নেতা কাঁশে খুক খুক,
নড়বড় চেয়ারে -
দেশ আজ লুটছে,
মন্ত্রীরা শেয়ারে!!
দিদি আর দাদা রোজ,
লেগে আছে চেষ্টায় -
তেল মাখা চ্যালা গুলো,
গিলে খায় দেশটায়!!
খুন গুম আজ যেনো,
ছেলে খেলা মনেহয় -
ভূত সর্ষেতে না,
ভূত ঘর কোনেরয়!!
এর দোষ ওর ঘাড়ে,
আর কতো চলবে-
শেষ হবে আর কবে,
কেউ কি'তা বলবে!!!?
................................................................................................
ঠিকানা
অবশেষে থামলো তুমুল বর্ষণ,
কত গর্জনে,তর্জনে,
কত আলিঙ্গনের নিপিড়িত নির্যাসে
থেমেছে এ কর্ষণ!
ঠিকানা চেয়েছ চারদেয়ালের!
মানতেই চাওনি ঠিকানা ছাড়া মানুষ
মানুষের হতে পারে-হয়- হয়েছে!
চারদেয়ালের ঐ খোদাই করা বর্ণ
বিন্যাস কি আমাকে তোমার করবে?
ধরো ঠিকানা পেলে, ১০-এ,১২/১৪মিরপুর,
নতুন করে যোগ হলো আরো কিছু নতুন মুখ
তোমার পরিচয় নামোক বিশাল এ্যালবামে!
সখ্যতাও হলো বেশ,শুধু যাকে পাবে বলে ঠিকানা নিয়ে
চৈত্রের খরতাপে বর্ষণের ঘনঘটায় বন্যা বইয়ে দিলে,
কোথায় সে,পেয়েছ কি তাকে?
ঠিকানা মানুষকে পরিধি দেয়না,মা
নুষ ঠিকানাকে পরিধি দেয়!
শত যুক্তিতেও বোঝানো গেলনা তোমায়!
পেলেই তো ঠিকানা,কিংবা নিদির্ষ্ট কিছু বর্ণ বিন্যাস!
যে ছিলো তোমার আষ্টে-পিষ্টে,শ্বাসে-প্রশ্বাসে—
সে কি আছে?দেখোতো হৃদয়ের ডানপাশটা হাতড়ে,
পাচ্ছ কি তার স্পন্দন?
ঠিকানা-ঠিকানা-ঠিকানা,
পেলেই তো ঠিকানা,
তবে কেন অশ্রু তোমার চিবুক ছুঁয়ে সিক্ত করছে
অহেতুক অবিশ্বাসের বাড়াবাড়িকে!?
কেন বিলিন হয়ে গেল মুক্তো দানার মতো অবারিত হাসি?!
১০-এ,১২/১৪মিরপুর।
ঠিকানা আমার ঠিকানা হলোনা তোমার -----
আক্ষরিক ঠিকানায় সাক্ষরিত হলোনা হৃদয়ের মেলবন্ধন!!!!!
................................................................................................
শিরোনামহীম
এটা চাই ওটা চাই,
চাই আরো আরো টা-
ঈদ পুজা পার্বণে,
বেজে যায় বারো টা!
সাতদিন সবদিন,
ঈদ কিবা ছুটিতে-
হাত -পা বাঁধা যেন,
হেসেলের খুঁটিতে!
তোমাদের কতো ছুটি,
কতোকিছু আয়োজন -
অন্তত একদিন,
আমাদেরও প্রয়োজন!
রান্নায় কান্না,
গিন্নীর রোজ রোজ -
কেঁদে যায়,রেঁধে যায়,
সাত পদে ভুঁড়ি ভোজ!
এ'কেমন নীতি বলো,
কেউ কি'তা ভাববে-
গিন্নীর ছুটি রবে,
হেয়ালের কাব্যে ----??
................................................................................................
ঈদ হয়না কেনো
ঈদ এসেছে কারো ঘরে,
সবার ঘরে নয়-
সুখ পাখিটা হয়না সবার,
কারো কারো হয়!!
আধাঁর কালো নিথর রাতের,
আকাশ ভরা তারায়-
কেউবা কাঁদে বিধুর ব্যাথায়,
কেউবা সুখে হারায়!!
কোথাও হাসে কোথাও ভাসে,
মন ছোঁয়'না যেনো-
আগের মতো ঈদের খুশী,
ঈদ হয়না কেনো!!!!!?
................................................................................................
খেয়ালী খেয়াল
পড়াশুনায় মন বসে না,
ভাল্ লাগেনা কিছু-
ইচ্ছে করে ডানা মেলে,
উড়ি মেঘের পিছু!
কখনো'বা ইচ্ছে করে,
পুকুর ধারে যাই-
নূপুর পায়ে জল জড়িয়ে,
খেয়ালী গান গাই!
শাষণ- বারণ বন্দি- জীবন,
বড্ড মেজাজ চটে-
নীল আকাশ আর সবুজ ছায়া,
স্বপ্ন হৃদয় পটে!
আমার আছে সবুজ শহর,
যেথায় করি বাস-
খেয়ালী মনের খেয়াল নিয়ে,
বসত বারো মাস!!
................................................................................................
নাও!!
মনের ভেতর নিবিড় মায়ায়,
হাতের কাছে পাইনা -
ইচ্ছে হলেই বাড়িয়ে দু'হাত,
একটু ছুঁয়ে যাইনা!!
কেমন তরো রক্ত ক্ষরণ,
কেউ দেখেনা চোখে-
কষ্ট ব্যাথায় নষ্ট সময়,
তবুও হাসি মোখে!
অবুঝ মনের সবুজ চাওয়া,
আর থেকো না দূরে -
বাঁচাও আমায় হাসাও আমায়,
সুখ নীলিমার নূরে!
কল্প লোকের মৌন দেয়াল,
এবার ভেঙে দাও-
আমার
আমায় চীর জীবন,
তোমার করে নাও!!
................................................................................................
এখোন রাত আসে---
এখোন রাত আসে,অবসাদ দেহটা দ্ব্যর্থহিন ভাবে,ঘুমের গর্ভে লেলিয়ে দেবার জন্য নয়,রাত আসে ক্লান্তিহীন এপাশ-ওপাশ চারিপাশ জুড়ে, ভাবনার সফেদ সাদা সমুদ্রের সবটকু সিক্ততায় অবিরাম তোমায় ভাবার জন্যে!
এখোন রাত আসে,বিছানার নীথর চাদরে, অসাড় নিজেকে ছড়িয়ে দেবার জন্য নয়, রাত আসে,হাজার কাব্যের মহাকাব্য সূচনায়,তোমার স্বপ্নিল বুকে,আমার অস্তিত্ব খুজেঁ নেবার এতোটুকু আশায়!
এখোন রাত আসে,জীবন থেকে জীবনে সাত-পাঁচ বাহারি অংকের দরকষাকষিতে, বিয়োগ হয়ে যাওয়া কোন সংখ্যার জন্য নয়,
রাত আসে,শুধুই যোগ আর যোগের সংমিশ্রণে বিরাট একটি প্রাপ্তির সূচনায় নিমগ্ন হওয়ার জন্যে!
এখোন রাত আসে,পথের শেষে পথ পাওয়ার জন্য নয়, রাত আসে,কষ্টের সাতকাহনে মোড়া প্রস্ফুটিত গোলাপের সুরভিত সৌরভে মৌনতা চূর্ণ করার জন্য! এখোন রাত আসে,অলিক স্বপ্নের মতো জীবন হরিণের পিছু ছুটে যাবার জন্য নয়, রাত আসে,একটু একটু করে,মৃদু মৃদু পায়ে মৃত্যুর সাথে চিরন্তন আলিঙ্গনের জন্য!!এখোন রাত আসে ----
................................................................................................
আমিও,,,,
আমিও উড়তে জানি,
আমায় একটা খোলা আকাশ দাওনা,
জীবনের দেয়া শৃঙ্খলভারে,
বড্ড বেশি কষ্ট হয় এই ডানা দুটিতে,
বিনিদ্র রজনির নিঃসঙ্গতায় অক্ষির অশ্রুজলে
ভিজতে ভিজতে কাঁপুনি উঠে আমার সারা শরীরে,
আমায় একটা সুন্দর রাত দাওনা!
ঝিনুকের মতো আমি আমার,
এক জনমের যন্ত্রণা চেপে রইবো,
তুমি ফ্যাল ফ্যাল করে দেখবে কিন্তু কখনো জানবেও না,
বুঝবেও না তোমার ঐ সুখের ক্ষিতিতে
প্রদ্বীপের মতো অঙ্গার হয়ে আলো দিয়ে যাচ্ছে,
একজন অবলিলায়----আমায় একটা ঝিনুক দেবে কি?
সময়ের দেয়া যন্ত্রণার ভারে,
থেমে যাচ্ছে জীবনের প্রবাহধারা,
তাই একটা ঝিনুক বড় বেশি প্রয়োজন!
মৌনতা তুষের মতো ছাই করে দিচ্ছে,
না বলা শত শত মিষ্টি বাক ধ্বনী,
একাকিত্ব সর্পের মতো প্রতি মূহুর্ত দংশন করে চলেছে,,
আমিও বলতে পারি,আমায় নিঃস্বার্থ একটা কাঁধ দেবে কি?
যেই কাঁধে মাথা রেখে কোনো অনুবিক্ষণ দূরবিক্ষণ
যন্ত্র ছাড়াই চেয়ে দেখাবো শতাব্দীর সুখ তারা,
ভুলে যাবো অসময়ের সকল উপেক্ষা,
ছোট ছোট সব কথাগুলো বড় থেকে বড়
উপন্যাস করে বলে যাবো অনর্গল,
আমায় একটা কাঁধ দেবে কি,
নির্ভরতার চাদরে আবৃত----
................................................................................................
আসবে কবে --
আসলে কাছে বসলে পাশে,
আপনতো কেউ হয়না -
আপন বলি আপন করি,
আপনতো কেউ রয়না!
কোথায় বাবা কোথায় মা,
কোথায় বোনের ভাই -
তুচ্ছ ডোরে বাঁধা সবই,
ভিত্তি কিছুই নাই!
সম্পর্ক আজ বোঝা যেনো,
কে নেবে কার দায় -
অস্থিরতা দিন থেকে রাত,
সুখ পাখি দূর যায়!
স্বার্থবাদি ফানুস রূপে,
মানুষ করে বাস -
রক্তস্রোতে বহতা দেহে,
দস্যু করে চাষ!
কোথায় আছে সত্যি মানুষ,
কোনসে রুপের দেশে -
আসবে কবে মিলবে সে'জন,
কয়টা জীবন শেষে!!?
................................................................................................
মন
মনের মতো মন পেয়েছে,
কে বলোনা কবে -
খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেল,
যে খুঁজেছে যবে!
আকাশ পাতাল তন্ন করে,
খুঁজছে সবাই মন -
একটা জীবন তুচ্ছ অতি,
খুঁজতে প্রিয় জন!
ফরমালিনে রাখছে জিইয়ে,
পঁচা মনের নষ্ট ভীত -
মনের মতন মন চাওয়াটা,
হারের কাছে হারের জিত!!
................................................................................................
কিন্তু
কলম আমার রুদ্ধ করে,
ক্রুদ্ধ করেছ শ্বাস -
তবুও বলব লড়ব আরো -
জীবন বোধের ত্রাস!!
খুন গুম আর লুটের দেশে,
ঘুন ধরেছে সুখে -
নেতা আছে জেতার রেষে,
কে দাঁড়াবে রুখে!!
আজব দেশে তাজ্জব মিয়া,
নাটক লেখে রোজ -
হায়রে হায় সোনার দেশে
পিতলও নাই খোঁজ!!
হাকিম হয়ে দিচ্ছে হুকুম,
মুখোশ পরে যিনি -
কেউ জানেনা চিনেনা কেউ,
কিন্তু সবাই চিনি!!
................................................................................................
এসেছে ফেব্রুয়ারি
একুশ এলে একুশ নিয়ে,
হাজার কথা রোজ-
একুশ গেলে একুশ ভুলে,
কেউ রাখেনা খোঁজ !
পেলাম ভাষা কত্তো আশা,
স্বাধীন হলো দেশ-
আজকে তবু উচিত কথায়,
প্রাণ হতে হয় শেষ !
পাচ্ছে যতো চাচ্ছে ততো,
চাওয়ার শেষ'তো হয়না-
আনলো যারা মুক্ত নিশান,
তাদের কথা কয়না!
হাসির ভিড়ে কান্না হারায়,
এলেই ফেব্রুয়ারি -
ভাইটি আমার ফেরেনি আর,
হৃদয় আহাজারি---
এসেছে ফেব্রুয়ারি!!
................................................................................................
মনের পশু
বনের পশু করছো জবাই,
মনের পশু পুষছ-
নিজের বেলায় সাজছ সাধু,
পরকে দোষে দুষছ!
স্বার্থ বলে অন্ধ হয়ে,
বন্ধ রাখো আলো-
পরের ভালোয় কেন এতো,
আগুন মনে জালো!
ঈর্ষা দিয়ে হয়কি বলো,
কেবল বাড়ে পাপ -
মনের পশু দমন করে,
কমাও অভিশাপ!
বনের পশু বনেই থাকুক,
মনের পশু দুরাই -
আত্ম ত্যাগী মানুষ হয়ে,
সবার জালা জুড়াই!
................................................................................................
নান্টু সোনা
ছাগল গরু দুম্বা খাসী,
পাইলে নেবে উট-
নান্টু সোনা চাঁদেরকণা,
কিনবে চানা বুট!
এ ডাল থেকে ও ডাল থেকে,
কত্তো পাতা ছিড়ে-
গমের গুড়া ধানের ভুষি,
ভাঁজছে মুড়ি চিড়ে!
নান্টু সোনা হাটে যাবে,
এত্তো আয়োজন -
রকেট কিবা উড়োপাখি,
বড্ড প্রয়োজন!
হায়রে কপাল নান্টু সোনা,
ভাব ধরেছে এমন-
করবে এবার বিশাল কিছু,
কেউ করেনি যেমন!!!
................................................................................................
চান্দি ছোলা
ঘুঘু
দেখেছো ফাঁদ দেখোনি,
দেখবে দুদিন বাদে-
থাকবেনা চুল যে কটা আছে
চান্দি ছোলা ছাদে!
তুমি নও শুধু কাজের কাজী,
ল্যাং মেরে যাওয়া
খেলোয়াড়-
সেরের উপর সোয়া সের
থাকে,
বুঝবে বাবা দেলোয়াড়!
কি হবে উপায় ভেবে মরি
হায়,
লাগছে হাসি খুব-
কোন আলোতে লুকাবে বলো,
কোন জলে দিবে ডুব!?
মজা পাও তুমি মামলা
নিয়ে,
জিডি নিয়ে করো খেলা-
জম্বে খেলা শেষের বেলা,
ভাংবে যখন বেলা!!
................................................................................................
চোখ দেখলে ভয় পাই,,,
নিজের সাথে নিজেই যেন হেরে যাচ্ছি,
বাক যুদ্ধে বাক বিতর্কে বারংবার,
আমার আমিত্ব একাত্ব কেড়ে নেয়ার নাম'ই কি
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি
যাকে বলে স্বাধীনতা!
বড় বেশি ঘেন্না হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে!
যদি অসমীচিন না হয়
তবে দুটো রঙের সংমিশ্রণকেই তো
স্বাধীনতা বলে - বলে না?
আমার চারিপাশে আজ দেখছি,
হাজার রঙের হাজার ভাষায় স্বাধীনতা
হনন করার নাম স্বাধীনতা,
গোপন করার নাম স্বাধীনতা,
দিন দুপুরে পুড়িয়ে মারার নাম স্বাধীনতা,
খুন,গুম, টেন্ডারবাজির নাম স্বাধীনতা,
শিক্ষক
লাঞ্ছিত করার নাম স্বাধীনতা,
শিশুশ্রম,বিদ্ধাশ্রমের নাম স্বাধীনতা,
ক্ষমতার লোভে অমানুষ হওয়ার নাম স্বাধীনতা,
নারী ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ,মানব পাচারের নাম স্বাধীনতা,
ফেইসবুকে বেহায়াপনার নাম স্বাধীনতা,
ফেইক আইডি,ফেইক ভালোবাসার নাম স্বাধীনতা,
পরকিয়ার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোর নাম স্বাধীনতা,
তেল,
গ্যাস,পানি, বিদ্যুৎ, বাড়ি ভাড়া তথা নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুর দাম ঠুনকো
ছুতোয় বাড়িয়ে দেয়ার নাম স্বাধীনতা,
বিচারের নামে কুকুর বিড়ালের মতো মানুষ মেরে
ক্রসফায়ারের নাম স্বাধীনতা,
ক্রিকেট
বিশ্বে দাদাদের চোখ রাঙানির নাম স্বাধীনতা,
যার নাই তার কিছু নাই,যার আছে, তার অনেক থাকার নাম
স্বাধীনতা,
জীবিকার তাগিদে প্রিয়জন ছেড়ে নির্বাসিত প্রবাসী
জীবনের কষ্টের নাম স্বাধীনতা,
চেয়ার গদির
লড়াই বড়াইয়ে আম জনতার তিল তিল স্বপ্ন
বিসর্জিত হবার নাম স্বাধীনতা,
একটা একটা করে ডানা থেকে পালক ছিঁড়ে নেয়ার নাম
স্বাধীনতা,
আসলে কি স্বাধীনতা, কেন স্বাধীনতা, কোথায় স্বাধীনতা
কতদূরে?
আর কতো বিনিদ্র রজনির পর দেখা পাবো, সত্যিকারের
স্বাধীনতা!
আর জেগে থাকতে পারছি না,
ক্লান্ত বড় বেশি ক্লান্ত!
হায়েনার মতো লোলুপ দৃষ্টিতে কে,বা কারা যেন কেড়ে
নিচ্ছে আমার একান্ত আমিকে!
প্রতি পদে পদে কেড়ে নিচ্ছে আমার ঘুমের স্বাধীনতা,
চলার
স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা!
সেই চোখ থেকে চোখ, হাজার চোখ একহয়ে
ধাওয়া করছে আমাকে,শতলোক ছেড়ে সীমাহীন কোনো এক
ঊর্ধলোকে!
প্রায় শ্বাসরুদ্ধ আমি!
এখন কিছুই ভয় লাগেনা,ভয় পাই না, শুধু চোখ দেখলেই ভয়
পাই--------!!!
................................................................................................
শূন্য সবি
যে ডাল ধরি ভাঙ্গে সে ডাল,
এমন করে আরকতো -
স্বপ্ন কলি দু'পায় ডলি,
স্বপ্ন মরে আরযতো!!
স্বপ্নবাজ এক দস্যি আমি,
তবুও দেখি স্বপ্ন রোজ -
সোনার হরিণ খুঁজছি তবু,
যদিও আজো হয়নি খোঁজ!!
জানিনা কোন্ ইন্দ্র সাধন,
মুছবে চোখের জল -
পাওয়ার আগেই শুন্য সবি,
প্রাপ্তি খাতার ফল!!!
................................................................................................
বাংলা ওয়াশ!!!
খেলছে ওরা লড়ছে ওরা,
বিশ্ব দেখে চেয়ে -
হাত তুলেছি রাত ভুলেছি,
বাংলা জয় পেয়ে!
দামাল ছেলে করবে কামাল,
ষোলো কোটির চাওয়া -
বাংলা ওয়াশে হাসবে জাতি,
করুক যতোই ধাওয়া!
এক এগারো লড়ছে মাঠে,
লড়ছে সাথে দেশ-
আনবে হেসে বীরের বেশে,
মুছবে যতো ক্লেশ!
সোনার ছেলে রুপোর ছেলে,
হীরের ছেলের দল-
আনবে বয়ে সবার হয়ে,
বাংলা ওয়াশের ঢল!!!!
................................................................................................
বৃষ্টি
গুড়িগুড়ি ঝড়ছে বারি,
ঐনা দূরের আকাশে -
ঝিড়িঝিড়ি মৃদুলা সুর,
বাজায় বাঁশী বাতাসে!!
কে যেনো কি বার্তা পাঠায়,
মিঠা বাওয়ের বৃষ্টিতে -
কি জানি কি মন্ত্র মায়ায়,
অজানা কোন সৃষ্টিতে!!
................................................................................................
কেগো তুমি কে?
একটু থামি একটু
ভাবি,
স্বপ্ন তুমি
কল্প চাবি,
কেগো তুমি কে-
হাসতে বলো বাসতে
ঢলো
তোমার কাছে
আসতে বলো
সে'কি তুমি
সে?
আমার হতে আমায়
নিয়ে
পাল তুলেছ নাও
ভিড়িয়ে
কেগো তুমি কে
-
এক পলকের একটু
দেখা
বদলে দিলে ভাগ্য
রেখা
সে'কি তুমি
সে!!?
জীবন থেকে আর
জীবনে
বিরাণ সবি তুম
বিহনে
কেগো তুমি কে-
সত্যি তুমি
নওকি ছায়া
ছবির মতো অলিক
মায়া
এ'কি তুমি সে??
................................................................................................
জানিনা,,
জানিনা কি মায়ায় বেঁধেছো, বেলা অবেলায় কারনে অকারণে
আষ্টে পিষ্টে
জড়িয়ে থাকো আমার অষ্টপ্রহর,,,
হাতছানি দিয়ে
বারবার তুমি ও তোমার মগ্নতায় শতলোক ছেড়ে সীমাহীন কোনো এক ঊর্ধলোকে আবৃত রাখো আমায়
অসীম মুগ্ধতায়,,,
জানিনা কি মায়ায়
বেঁধেছো, নিঃশ্বাসের নিবিড়তায় তোমার বাঁধ ভাঙা রুপালি হাসি, স্নিগ্ধ করে আমার চৈতালি
প্রহর,,,
তোমার হেঁটে
যাওয়া, কথা বলা, সবকিছু খুব বেশি জীবন্ত হয়ে সারাক্ষণ দৃষ্টির করিডোরে বর্তমান থাকে,
মত্ত রাখে আমার সমস্ত অনুভব!
জানিনা কি মায়ায়
বেঁধেছো,
তুমি ও তোমাতেই
সমস্ত সত্তা আমার অনুরণিত হয়, উইল করে পাওয়া সম্পত্তির মতো তুমি ও তোমাতেই আমার সমস্ত
চিন্তাশক্তি উজ্জ্বীবিত হয় নিত্য নতুন করে,,, জানিনা কি মায়ায় বেঁধেছো--!!
................................................................................................
আমি
কোনো
আমি কোনো রঙ
চিনি না,
লাল নীল সবুজ
বেগুনী আকাশী কিংবা সাদা কালো, কোনো রঙ রাঙাতে পারে না,বিবর্ণ এই মন,,
ধুম্র ধুসর
তম্র ছায়ায় আচ্ছাদিত হৃদয়ের অলি গলি,,,
আমি কোনো রঙ
চিনি না,
ভালো লাগেনা
কোনো রঙ, সূর্য রাঙা সোনালী সকাল নিকস রাত্রির আবরনে টেনে নিয়ে যায়
দূর থেকে দূরে
সীমাহীন কোনো এক ঊর্ধলোকে! হেরে যাই জিতে যাওয়া বাজি! অস্তিত্বের খোঁজে দিগ্বিদিক
হারিয়ে যায় চেনা মানুষ গুলো অচেনা মুখের অন্তর্বাসে----
আমি কোনো রঙ
চিনি না, সময়ের করুণ প্রহারে অবরুদ্ধ সকল প্রত্যাশা, নিস্তেজ আজ চেনা পৃথিবী অচেনা
ছোবলে, আমি কোনো রঙ চিনি না---!
................................................................................................
বৈশাখ আসবে
নাই কোনো ঢাক
ঢোল,
উৎসব কলরব-
করোনা ভাইরাসে,
নিস্প্রাণ লাগে
সব!
বাতাসে রঙ নেই,
মলিনতা আকাশে-
এবারের বৈশাখে,
সবকিছু ফ্যাকাশে!
শাড়ি নেই চুড়ি
নেই,
বেলী নেই খোঁপাতে-
লাল নীল নেই
টিপ,
ফুল নেই ঝোঁপাতে!
দূরে থেকে ভালোবাসা,
লেনদেন হৃদয়ের
-
ঘরে থাকি ভালো
রাখি,
স্বপ্ন'টা বিজয়ের!
করোনার বিদায়ে,
বিশ্ব'টা হাসবে-
সেই দিন ঠিক
ঠিক,
বৈশাখ আসবে!!
................................................................................................
হায় কবে !!
করোনার
ছোবলে,
বিশ্বের
নেই ঘুম-
চাল
চুরি, দুর্নীতি,
নিত্য
নতুন ধুম!
অসহায়
অবলার,
থাবা
দেয় খাবারে-
অনুদান
অফুরান
সেলফীর
বাহারে!
মন থেকে হীনতা,
আর কবে ভাগবে-
বিবেক'টা এ'জাতির,
হায়
কবে জাগবে!
খুব প্রয়োজন
আসি আসি করে তবু,
শীত কেন আসেনা-
ধুত্তুরি মেজাজটা,
হীম সুখে হাসেনা!
মাঝে মাঝে কুয়াশাটা,
হুট করে উঁকি দেয়-
হেসে উঠে মরুমন,
কতোকিছু ঝুঁকি নেয়!
বুঝিনা'তো
কোন জ্যাম,
কোন ম্যামে ফেঁসেছে-
গরমটা চান্স পেয়ে,
বাঁকা হাসি হেসেছে!
ভাপা পুলি রস ঝুলি,
কতো কিছু মনচায়-
শীত তবু আসেনা,
বাংলার বাগিচায়!
হাঁচি কাশি নানা ব্যামো,
ঘরে ঘরে বইছে-
দেখে চেয়ে হাসে শীত,
তবু দূরে রইছে!
হৃদয়ের গালিচায়,
কতো কিছু আয়োজন-
ঋতু ভারসাম্যে-
শীত খুব প্রয়োজন!!
................................................................................................
খুঁজেই গেলাম
সবার আমি,আমি সবার,
যেই খানেতে যাই--
কিন্তু আমার আমি'র বেলায়,
আপন কেহ নাই !
চিত্ত পুড়াই বিত্ত উড়াই,
হাসাই চারিপাশ--
আমার বেলায় সবটা আঁধার,
শুধুই দী`ঘশ্বাস
!
হায় অভাগা আমার আমি,
পেলাম নাতো কেউ--
রইলো চোখে জনম জুড়ে,
ব্যথার নোনা ঢেউ !
লু হাওয়াতে হাতছানি দেয়,
তীব্র জ্বালার দুখ---
এই আমিটা হায় খুঁজেযাই,
সবার মাঝে সুখ !
সবার হলাম সবার রলাম,
সবার হয়ে আছি--
খুঁজেই গেলাম মনের মানুষ,
মনের কাছাকাছি !!
................................................................................................
ভাল্লাগে না,,
পদ্মপাতার টলের জলে,
মনটা তো আর টলে না-
মুখটা বলে মুখের কথা,
মনের কথা বলে না!
ইচ্ছে গুলো নীম তেঁতো আজ,
লেবুর রসেও রুচি নাই-
চলছে জীবন নিয়মমাফিক,
যদিও জীবন সূচি নাই!
ভাল্লাগে না ভাল্লাগে না,
হাওয়ায় মাতম শোনা যায়-
থমকে যাওয়া প্রহর গুলো,
আঙুল দাগেও গোনা যায়!
................................................................................................
হাসবো নাকি কাঁদবরে ভাই,,
সাহেদ বাবুর কারনামায়-
সিরিজ ভিলেন,ফটকা হীরো,
সব কিছুকেই হারমানায়!
মদদ ছাড়া হয়নি সাহেদ,
জীরো থেকে কিং-
যতোই দেখাও আটক নাটক,
হাতকড়া ঐ রিং!
কোটে পাবে ডিভিশন,
জামাই সোহাগ খাতির-
ইহাই হলো ডিজিটাল,
খেলা তেলেসমাতির !
................................................................................................
তাজ্জব দেশে বাস করি ভাই,
আজ্জব যতো কান্ড -
চামচা চেলা কামলা নেতার,
লুটছে দেশের ভান্ড!
মহৎ পেশায় অসৎ ঘুণে
বসত করে আজ-
টাকা খেকো দানব দেখে,
লজ্জাও পায় লাজ!
মহামারীর করুণ ক্ষনেও,
হয়না ওদের হুঁশ-
রক্ত চোষা হায়না শকুন,
গিলছে কালো ঘুষ !
আজোব এদেশ আজোব মানুষ,
বিবেক শূন্য দেহ-
পশুর আপন হাজার পশু,
নাই মানুষের কেহ!!
ইচ্ছে করে'না
ইচ্ছে করে'না দূরের নীলে আর কখনো ভাসতে-
ইচ্ছে করে'না কষ্ট চেপে মুখের হাসি হাসতে-
ইচ্ছে করে'না কথা গুলো ধরে সুরের তারে সাধতে-
ইচ্ছেকরে'না মিছেমায়াডোরে তুমি-আমি'তে বাঁধতে-
ইচ্ছে করে'না আলো আঁধারের স্বপ্ন লয়ে বাঁচতে-
ইচ্ছে করে'না হীরা ভেবে চুমি জীর্ণ পথের কাচঁ'তে-
ইচ্ছে করে'না হেলিয়ে মাথা চোখ বুজেঁ কাঁধে রাখতে-
ইচ্ছে করে'না আলতা পায়ে শিশিরের জল মাখতে-
ইচ্ছে করে'না সব কিছু ফেলে ঊর্ধ্বে তুলি এক হাত'কে-
ইচ্ছে করে'না স্মৃতিতে অমর করে রাখি এক রাত'কে-
ইচ্ছে করে'না ছায়ার মায়ায় বিন্দু খুঁজে আঁকতে-
ইচ্ছে করে'না অহেতুক ঢুকি ধুম্রজালের ফাঁক'তে-
ইচ্ছে করে'না জুলুম সয়ে জালীম ভালোবাসতে-
ইচ্ছে করে'না সূর্য ফেলে অসীম কালোয় আসতে-
ইচ্ছে করে'না ঘড়ির কাঁটায় সময় গুনে ভাবতে-
ইচ্ছে করে'না মাশগুল হই দিনের রঙের খাব'তে-
ইচ্ছে করে'না মানচিত্রের এতটুকু ভাগ ছাড়তে-
ইচ্ছে করে'না বারবার দেখি স্বাধীনতাকে হারতে !!!!!
................................................................................................
ডিসেম্বরের ষোল
স্বাধীনতার সূর্য হাসে,
বাংলা না'য়ের পালে-
ডিসেম্বরের ষোল মানে,
বিজয় সবুজ লালে ।
করলো বিদায় দালাল শকুন,
মুক্তি সেনার দল-
করলো স্বাধীন আচঁল মায়ের,
মুছলো চোখের জল ।
লক্ষ ত্যাগের বিনিময়ে,
পেয়েছি বাংলা মা'কে-
বক্ষ ভেতর চিরদিনি,
বাচিঁয়ে রাখবো তাঁ'কে ।
আজ আমি তাই সব কিছুতে,
পাচ্ছি ছোঁয়া স্বাধীনতার -
দেশ মাটি মা মুক্তআকাশ,
বিজয় ষোল ডিসেম্বর ।।
................................................................................................
আমার আছে
সবুজ লালের ঐ রংটায়,
আমার অঙ্গীকার-
অম্লান করে রাখবো বিজয় ,
ষোল'ই ডিসেম্বর ।
গর্ব আমার এই পতাকা,
গর্ব এদেশ মাটি-
লক্ষ দানে পূর্ণ স্বদেশ,
সুখযে শীতল পাটি ।
আমার ভাষায় বলছি কথা,
এইতো অহংকার-
আমার আছে শ্রেষ্ঠ বিজয়,
ষোল'ই ডিসেম্বর ।।
................................................................................................
কারো শিরোনাম হতে চাই না,
চাইনা হতে সাক্ষী কারো দেয়া শত নির্ভরতার,
কাদুক আমার যন্ত্রনা
তোমার দেয়া শত উপেক্ষার
গচ্ছিত আমানত হয়ে,
কাদুক আমার পৃথিবী কাদুক,
চাইনা কারো শিরোনাম হতে,
হতে চাইনা রাতজাগা চাতক পাখির মতো
অচেনা গন্তব্যের পথভ্রষ্ট পথিক হতে,
চাইনা পেতে খুঁড়ে খাওয়া
দীর্ঘশ্বাসের মাতম জড়িত অলীক ভালোবাসার হাতছানি,,,,
কারো শিরোনাম হতে চাই না
কাদুক আমার পৃথিবী
কাদুক আপন যন্রনার যুদ্ধ জয়ের গল্পে---!
................................................................................................
কোন মন্তব্য নেই