মোঃ মাকসুদুর রহমান আদনান (অব. মেজর)
একান্ত সাক্ষাৎকার
জন্ম : ৯ মার্চ ১৯৬৮ সালে বগুড়ায়
পড়ালেখা : ক্যাডেট কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে পরবর্তীতে রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন।
পিতা : মোঃ সামছুর রহমান
মাতা : মিসেস সেলিমা রহমান
পেশা : বর্তমানে ব্যবসা। চাকুরী জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটে বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট,
পার্বত্য চট্টগ্রাম, ডিজিএফআই, শান্তিরক্ষা মিশন, এন্টি করাপশন, সাউথইষ্ট
ইউনিভার্সিটি, আর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট, টেকনাফ।
প্রকাশনা : কাব্যগ্রন্থ- একটি বিষন্নতার তানপুরা।
লেখালেখি : মাসিক ভিন্নমাত্রা, ছোটদের কাগজ টাপুরটুপুর, মাসিক স্বারলকসহ বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায়।
প্রিয় মূহুর্ত : রাঙা সাজের বেলা।
প্রিয় খাবার : ভাত-মাছ।
প্রিয় মানুষ : যারা আমার দৃষ্টিতে ভাল মানুষ।
প্রিয় ব্যক্তিত্ব : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
প্রিয় উক্তি : হক-উল-ইবাদ বা বান্দার হক আদায়।
লেখালেখির শুরু ঃ
লেখালেখির শুরুটা ছেলেবেলা থেকেই। হঠাৎ করে খুব ইচ্ছে করতো মনের কথা গুলো কাগজের বুকে লিখে ফেলি। তারপর লেখার চেষ্টা করলাম। বন্ধুরা দেখে সাহস, উৎসাহ জোগাতে থাকে। কেউ কেউ মন্তব্যও করতে থাকে। সেই থেকে আজ অবধি যখন যেটা মনে আসে অবলীলায় সহজভাবে লিখে ফেলি।
কবিতার মূল প্রতিপাদ্য বলতে প্রেম, প্রেম এবং প্রেম। একজন লেখক সবকিছুর সাথে যখন গভীর প্রেম করতে পেরে উঠেন তখন সেই বিষয়টি অনবদ্য হয়ে ওঠে। সুন্দর থেকে সুন্দরময় হয়ে ওঠে। আর তখন নান্দনিকতার ছোঁয়ায় তা বেড়ে উঠতে থাকে। কবিতা অস্ত্রের চেয়েও ধারালো। একে শানিত করতে পারলে একজন রাষ্ট্রনায়কের চেয়েও ক্ষমতাবান হয়ে ওঠতে পারে অনায়াসে। একজন কবির আত্মা তাঁর অনুভব, অনুভূতি প্রকাশে যখন প্রকাশিত হয় তাঁর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টি। সেই সৃষ্টি কাঁপিয়ে দিতে পারে বিশ্ব বিবেককে। জয় করতে পারে প্রেমিক হৃদয়। প্রয়োজনে পাড়ি দিতে পারে আটলান্টিক মহাসাগর। উড়ে যেতে পারে তেপান্তরের পানে। অবলীলায় বলতে পারে, “আমি সেই দিন হবো শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশ বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারির খড়গ কৃপা রণভূমে রণিবে না। মহা বিদ্রোহী ক্লান্ত, আমি সেইদিন হবো শান্ত।”
একটি কবিতা অণু থেকে পরমাণু, ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রাতি অনুসঙ্গ অর্থাৎ দেশ-কাল, ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, ইতিহাস-ঐতিহ্য সকল স্থানে সে বসবাস করে। কবিতার জন্ম বোধ থেকে। বোধের আঙিনায় সে জন্ম নিয়ে মহীরূহ হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে।
মানুষ সব সময় অনুসন্ধিৎসু মনের অধিকারী। মনের আকুতি তাকে পৃথিবীর নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি করে দেয়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে সে পড়তে, জানতে, বুঝতে ও লিখতে শিখে এবং পরিশেষে একজন পরিপূরক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে। অধ্যবসায়, সাধনা, ইচ্ছা, সাহস, দৃঢ়তা এবং একাগ্রতা মানুষকে তাঁর লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষমতা দান করে। লেখালেখি একটি জটিল ও কঠিন কাজ হওয়া সত্ত্বেও মানুষ তা জয় করতে পেরেছে আপন মহিমায়। একজন ভালো ও সার্থক লেখক হওয়ার জন্য লেখার কলাকৌশল সবার আগে জানা/আয়ত্ব করা জরুরি। লেখার কৌশলই একদিন লেখককে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় নি:সন্দেহে।
লেখালেখির কৌশল জানার জন্য সিনিয়র লেখকদের লেখনি, লেখার ভাব-ভঙ্গি, প্রকাশ ভঙ্গি, ধরণ, চিন্তা-চেতনা, মনন-মানসিকতা, বুদ্ধি, যুক্তি সর্বোপরি তাঁরা কিভাবে লিখতেন ইত্যাদি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে তাঁদের সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমে সংস্পর্শে এসে তাঁদের আদেশ-নিষেধ, উপদেশ গ্রহণ করা। উপদেশ লেখালেখিতে বিস্তার বিস্তার অনুপ্রেরণা যোগায়। আর তাই লেখালেখিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সবার অগ্রে রেখেছি। সময়ের পরিক্রমায় এগিয়ে যেতে চাই দূর, বহুদূর।
সবশেষে কবিতায় জাগরণের পথচলা যেন মসৃণ ও সৌন্দর্যময় হয় পরমকরুণাময়ের কাছে সবিনয় আকুতি।
---------------(সমাপ্ত)-----------------
কোন মন্তব্য নেই