Header Ads

কবিতায় জাগরণ (জুলাই-সেপ্ট ২০১৫)

 



সম্পাদকীয়


সময় ঘোড়ার লাগাম যতই টেনেধরে রুখতে চাইনা কেন, সময় থামেনা থামানো যায়না এগিয়ে যায় বাঁধ ভাঙা ঢেউয়ের মত। সময়ের কালপরিক্রমায় আমরা অতিক্রান্ত করলাম ২০১৪ ইং সাল শুরু হলো আবার আর একটি নতুন বছর ২০১৫ নতুন স্বপ্ন জয়ের আশায়। বিগত বছরে কি হারিয়েছি, তা ভুলতে পারা যেমন কঠিন, ঠিক তদ্রুপ নতুন বছরকে আশায় বুক বেধে আমন্ত্রন জানাতে হবে এটাও অনস্বীকার্য বাস্তবতা। কোমলমতি শিশুদের হাতে হাতে এখন নতুন বই, নতুন বইয়ের পাতা উল্টে উল্টে একের পর এক অধ্যায় দেখা, ছবি দেখা, আদো আদো পড়াÑএ এক অন্যরকম ভাললাগা কেননা স্কুল ভর্তি যুদ্ধের পর- নতুন বই ই তো স্বান্তনা। চারিদিকে লাল-সবুজের বিজয়ী আনন্দে মাতোয়ারা দেশ ও দেশের বাইরের সকল বাঙালী। লেখক, বই প্রকাশক, সকলের হৃদয়ে একুশ কে ঘিরে চলছে নানান প্রস্তুতি। যাঁদের শেষ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন ভূ-খন্ডের স্বাধীন নাগরীক, সেই সকল দেশ যোদ্ধা, বীরযোদ্ধাদের জানাই অবনত মস্তকে সশ্রদ্ধ সালাম। যারা বড় পারলে øেহের পরশ দিয়ে ছোটদের এগিয়ে চলার পথকে সহজ করে দিবেন, অযথা নিজে বড় এ অহংবোধে এমন কোন কটাক্ষ করবেন না এগিয়ে যাওয়া এই উদ্দিপ্ত তরুনের চলার পথকে রোধ করবে, কিংবা থম্কে দিবে। “কথা দিবেন কথা রাখার জন্য কথা ভাঙার জন্য নয়”Ñ কবিতায় জাগরনে যারা লেখা ও বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তাদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। যে যেখানেই থাকি নিরাপদে থাকি, নিরাপদ হোক আমাদের সকল যাত্রা, নিরাপদ হোক উচ্চপদস্থ থেকে একজন দিন মজুর পর্যন্ত সকল নাগরীকের ঘর কিবা বাইরের প্রতিটা মুহুর্ত। “জয় হোক কবিতার জয় হোক মানবতার”


সাহিদা রহমান মুন্নী



যাত্রা 

✍️অমিত বড়ুয়া


যদি বলো- আলোর দিকে যাচ্ছি

তাহলে আলোর দিকে

যদি বলো অন্ধকারে হাতড়ে মরছি

তাহলে অন্ধকারে

যদি বলো- দিক চিহ্নহীন শূন্যে ভাসছি 

তাহলে শূন্যে

যদি বলো- উদ্ধারহীন অতলে ডুবছি

তাহলে অতলে- 

যেটাই বলো-মূলত তুমিই আমার গন্তব্য

তোমাকেই ছুঁতে চাই বারবার

জন্মান্ধ নই

প্রেমান্ধ আমি তোমার নাগাল কি 

কখনো পাব না?

..........................................................................................................


ধূসর নীরবতা 

✍️আখতারুল ইসলাম


মরুর বুকে শীতল ছায়া কোমল তরুলতা,

তোমার আমার মাঝে তবু ধূসর নীরবতা।

আকাশ হতে পূর্ণিমা চাঁদ জোছনা হয়ে নামে,

তোমার হৃদয় বন্ধ আজও মেঘলা রঙের খামে।


আমবশ্যার বিশাল দানব দিচ্ছে কালো হাত,

তুমি আমি একা দাঁড়িয়ে মাঝখানে সে রাত।

যেই একটু পা দু’খানি দিলাম তোমার কাছাকাছি,

তখন তুমি বললে ডেকে অনেক দূরে আছি।


হাত দু’খানি বাড়িয়ে দিলাম একটু খানি ছুঁই,

শিউলি বকুল গোলাপ তো নয় বললে তুমি জুঁই।

আগুন পথে বৃষ্টি দেবো পাহাড় দেবো গুঁড়ে,

যতই তুমি ফন্দি করো থাকো অনেক দূরে।


আকাশ ভরা তারার মেলায় চাঁদের মত একা।

মেঘের কোলে রোদের ডানায় হঠাৎ পাবো দেখা।

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছি স্বপ্ন সাগর তীরে,

খুঁজে নেব হৃদয় চোখে হাজার লোকের ভীড়ে।

..........................................................................................................


না ফেরার গল্প

✍️আবদুলাহ মজুমদার 


হয়তোবা জানা হবে না তুমি ক্যামন আছো?

অনেক দূরে চলে গ্যাছো আজ

যতটুকু কাছে ছিলে ঠিক ততটুকুই দূরে 

প্রাপ্তির খাতায় শূণ্যতা ছিল না কখনো

যে দিন থেকে তোমার সাথে হৃদ্যতার পরিচয়।


হয়তোবা জানা হবে না তুমি ক্যামন আছো?

হারিয়ে গ্যাছো তুমি না ফেরার কোলে

আমাকে একা রেখে 

নিষ্ঠুর তুমি না আমি?

আমি তো তোমাকে ছেড়ে যেতে পারিনি।


হয়তোবা জানা হবে না তুমি ক্যামন আছো?

জানো? তোমার ললাটে একে দেয়া স্মৃতি

আমাকে তাড়া করে বেড়ায় প্রতিনিয়ত

স্বপ্নহীন আমি শূণ্যতায় পড়ে রই

কষ্টের পাহাড়ের চূড়ায়।


হয়তোবা জানা হবে না তুমি ক্যামন আছো?

কখনো ফিরবে না তুমি তাই

আমার ও অপেক্ষার পালা শেষ হবে না

হৃদ্যতার পরিচয় থেকে যাবে স্বপ্ন হয়ে 

না ফেরার গল্প বা করিতায়।

..........................................................................................................


হৃদয়ের ঘর 

✍️আবেদীন জনী 


হুডখোলা রিকশায় অনেক বিকেল দুজনে করেছি পার 

হাতের উপরে হাত-আঙ্গুলের ঘনিষ্টতা, দু’চোখে স্বপ্নের জাল। 


এই ভাবে অজস্র কাব্যিক বিকেলের বুকে এঁকেছি প্রণয়চিহ্ন 

কী মিহিন মাকড়সাজাল বুনে গেছি গহীনের ঝোপে, 

কখন জানি না। যেদিন ফসকে গেল সেই হাত, স্বপ্ন-সুতো 

সেদিন বুঝেছি পাখিহীন বনের যন্ত্রনা, 

খা খা শূন্যতায় জ্বলছে এ বুকের আকাশ। 


দু’জনের মাঝখানে কোথাওবা ছিল এক গোপন ফাটল 

সেই পথে ঢুকে গেছে অশুভ বাতাস 

তারপর ঝড় হয়ে তছনছ করে গেছে হৃদয়ের ঘর। 


এখনো বিকেল আসে 

হুডখোলা রিকশায় যায়-আসে প্রেমান্ধ যুগল 

আমার বুকের তলে শুধু মচমচ করে ওঠে চৈত্রের ঝরাপাতা। 

..........................................................................................................


মলিকিউলের জোঁক

✍️আল মুজাহিদী


তুমিও কেমন আজকাল বেশ পালিয়ে বেড়াও। -তোমার হৃদয় থেকে

হৃৎকমল থেকে। -দেশ, রাষ্ট থেকে। অপরাপর গুলমোহর

যাপিত পুরুষ সরে যায়। ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যায় তোমার সুন্দর-

শিল্পের প্রতিমা দুলে ওঠে প্রচণ্ড বাতাসে। রক্তের গোলাপ কাঁপে

জানুয়ারির ফিনফিনে কুয়াশায়। রমনার কৃষ্ণচূড়া ঝরে পড়ে কাজী নজরুল

এভিন্যুতে। শিশুপার্ক, শীতার্ত মিশুক বড়ো বড়ো চোখ তুলে দৃষ্টি ফেরি

করে দর্শকের দিকে। দেখো, স্কাইস্ক্র্যাপারের মানুষেরা উর্দি পরে নেমে

আসছে সামনে। আ, সন্ত্রস্ত পৃথিবী। এ কোন আজদাহা! এ কোন

দানব তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে সভ্যতার উলুখাগড়া? আমাকে পথের ওপর

থেকে, আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেলো অজানা, অদেখা অন্ধকার গহ্বরের

দিকে। আমি আর কতোদূরই বা যেতে পারবো নিজের পথ ছেড়ে

তুমি আর কোনো দিকে তাকিয়ে আমাকে অন্যমনস্ক কোরো না, প্রিয়তমা।

-মালিকিউলের জোঁক পায়ে বেঁধে গেলে যখন তোমার জংঘার রক্তক্ষরণ

থামবে না-

আর। আমিও দেখলাম পৃথিবীতে তখন ভীষণ রক্ত গড়াচ্ছিলো।

..........................................................................................................


ভালোবাসার বিশ লাইন

✍️আলেক্স আলীম


এক

কষ্ট লুকাই মনের ভিতর

কষ্ট লুকাই বুকে

আমায় ছাড়া বন্ধু তুমি

থেকো না হয় সুখে।

দুই

আমায় দেখে বন্ধু তুমি

দরজায় দাও খিল

কষ্ট আমার কেউ দেখে না

ব্যস্ত মতিঝিল!

তিন

দিন কেটে যায় রাত কেটে যায়

চোখের জলে নদী

সেই জলেতে সাঁতার কেটে

তুমি আসো যদি!

চার

চলেই যখন যাবে বন্ধু

একটু না হয় থাকো

আমায় ছাড়া বন্ধু তুমি

পার হয়ো না সাঁকো!

পাঁচ

স্মৃতির পাতা যায় না মুছে

যেও না হয় ভুলে

তোমায় আমি দেখতে পাবো

মনের দু'চোখ খুলে!

..........................................................................................................


অনুকাব্য

✍️ইমরান পরশ


আকাশ যখন বৃষ্টি হয়ে

তোমার চোখে নামে

আমার ভালবাসা তখন

আগুন হয়ে থামে।


আকাশটাকে দেখতে কেমন

নীল লাগে

ভালবাসতে নিখাঁদ একটি

দিল্লাগে।


মধ্যরাতেদখিনপাশের

জানলাখুলেরাখিও

আসবআমিচুপিচুপি

জানবেনাকাকপাখিও।

..........................................................................................................


হয়তোবা 

✍️ইলিয়াস বাবর


নির্ভয়ে রানার ছোটার সেদিন আজ 

খুন করেছে জুকারবার্গ!


কেউ অপেক্ষা করে না 

      আক্ষেপ করে না

      উত্তর দেয়ার প্রয়োজনও হয় না...


মাউসের এক ক্লিকে রক্তাক্ত হলূদ খাম

সীমানা ডিঙিয়ে ভালবাসার বন্যা!


উইকিলিকসের উষ্ণতা ক’দিন ছিল?

ক’দিন থাকবে ফেইসবুক!


হয়তো ফিরে আসবে 

সচল হবে

আব্বা-আম্মা, তারও আগের সে 

পবিত্র ভালবাসার তাপ। 

..........................................................................................................


ভালোবাসার ডানা

✍️উৎপলকান্তি বড়ুয়া


চোখের খুশির প্রদীপ শিখা হাসির গোলাপ ঠোঁটে

রং ছড়ানো স্বপ্ন বিলাস সুবাসী ফুল ফোটে।


মোহের শিশির ভেজা সবুজ বন

আলতো ছোঁয়ায় শিরদাঁড়াতে তড়িৎ শিহরণ।

চাতাল জুড়ে মাতাল হাওয়ার ভোর

সমস্ত সুখ-ভালোবাগার খোলে নতুন দোর।


শারদীয়ার পূণ্য আলো ছড়ায় সাদা কাশে

ভালোবাসার ডানা মেলুক পবিত্র উল্লাসে।

..........................................................................................................


আঠ ফাল্গুন একুশে ফেব্রুয়ারি

✍️এম. এ. মুক্তাদীর


আট ফাল্গুন একুশে ফেব্র“য়ারী

আমরা ভুলতে কি পারি?

সেই দিনের সে স্মৃতি।

বাংলা ভাষা ভাষি, স্বতন্ত্র এক জাতি

আমার ভাইয়ের জীবন রেখে বাজি

বাংলা প্রতিষ্ঠা করে, করেছেন ঋনি

হঠাৎ বাংলাদেশে হলো যে কি?

ওই ফাল্গুন হয়ে গেল একুশে ফেব্র“য়ারী

আমাদের ঐতিহাসিক এ স্মৃতি

অম্লান থাকুক, এটাই আমাদের দাবি।

..........................................................................................................


কিছু বলা হলো না

✍️এলিজাবেথ আরিফা মুবাশ্শিরা


একটা কথা ছিল তোমাকে বলার

মনের মাঝে এ কথাগুলো

ভ্রমরের গুঞ্জনের মত বারবার শুনতে পাচ্ছি।

বাইরে আলো ঝাপসা ধোঁয়া।

আকাশে ঘন কালো মেঘের মায়া

হাঠাৎ দেখি মায়ের আচঁলের ছায়া।

তুমি চমকে উঠে চলে গেলে

কথাটা শোনা হলো না

আমারও কিছু বলা হলো না।

ঘন আঁধারে রাত গভীর হয়ে আসে

শীতল পরশ বৃষ্টি ভেজা বাতাসে।

ঝরা-বকুলের সুরভিত মদিরতা

সিক্ত জুঁইয়ের স্নিগ্ধ শুভ্রতা

সব ম্লান মনে হয়।

আবার কখন আসবে তুমি

দু’চোখ অনুরাগের ছোঁয়া নিয়ে

বলবে, ‘একটা কথা ছিল তোমাকে বলার’।

ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রাত জেগে থাকি

উদগ্রীব আকাক্সক্ষায় প্রহর শুনি।

..........................................................................................................


কষ্টের নষ্ট সুখ

✍️কোহিনুর শাকি


বিষন্ন মেঘের কালো ছায়া

আচ্ছন্ন করেছে সমস্ত হৃদয়

বেদনারা প্রতি নিয়ত আহত

করছে পুরো অস্তিত্বকে

অবসাদের মলিন স্পর্শ

ক্রমশ বীজ বুনেছে নীল কষ্টের

ডানা ভাঙা পাখির মতো

ছটফট করছে কোমল মন

তৃষিত চাতকের মতো

পিপাসিত বুকের জমিনে

এক ফোঁটা জল নেই

তুষের আগুনের মতো

দু:খের অনলে জ্বলে

জ্বলে সব নি:স্ব,

কষ্টের কারিমায় নষ্ট হয় সুখ

উহ্

স্বার্থপর পৃথিবীর বুকে

বেঁচে থাকার সেকী দারুন যন্ত্রনা।

..........................................................................................................


চিঠি

✍️জসীম মেহবুব


প্রথম যেদিন তোমার চিঠি পেলাম প্রিয়তমা,

লক্ষ-কোটি ভালোবাসা বক্ষে হলো জমা।

বুক পকেটে চিঠির পরশ কেমন কেমন সুখ,

চতুর্দিকে দেখি তোমার লাজুক রাঙা মুখ।

খুলবো চিঠি খুলবো চিঠি কেমন অনুভুতি ! 

মন জুড়ে এক সুখের আবেশ ছড়ায় প্রেমের দ্যুতি।

চিঠির ভাঁজে পেলাম খুঁজে গোলাম ফুলের ঘ্রাণ,

আজো সে ঘ্রাণ ব্যাকুল করে আকুল করে প্রাণ।

প্রথম প্রেমের সেই চিঠিটা হারিয়ে গেল কই ?

ভাল্লাগে না ভাল্লাগে না কষ্টে বেঁচে রই।   

..........................................................................................................


না হয় তোমার মনের ভুলে

✍️জালাল খান ইউসুফী


এইতো এখন তোমায় নিয়ে ভাবছি বসে

মন আকাশের অনেক তারা পড়ছে খসে।

বিষণœতা গ্রাস করে যায় আমায় শুধু

বুকের মাঝে ব্যথার মরু করছে  ধুধু।


বৃষ্টি কোথায় বৃষ্টি যদি পড়তো ঝরে

মন আকশের মেঘের আঁধার যেতোই সরে।

বৃষ্টি ভেজা বুকটা না হয় হালকা হতো 

মেঘের আঁধার চাঁদকে ঢেকে রাখবে কতো?


ভাবনারা আজ প্রাণ হারাতে চলছে ঝুঝি

মেঘের আঁধার তার মাঝেও তোমায় খুঁজি।

হঠৎ করে কোথায় তুমি নিখোঁজ থাকো

কেমন করে অন্ধকারের চাঁদকে ডাকো?


মেঘের পরে বৃষ্টি যদি না হয় তবে

কেমন করে আলোয় আকাশ ফর্সা হবে?

কেমন করে পাবে বলো চাঁদের দেখা

এইতো তোমায় ভাবছি বসে একদম একা।


এমন করে আরকে ভাবে কওতো দেখি

ভাবতে থেকে নিত্য নতুন কাব্য লেখি।

কাব্যে ভরা অনেক ব্যথা যায় না দেখা

কষ্ট ব্যথায় বিষণœতায় পদ্য লেখা।


হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি এইতো প্রিয়

না হয় তোমার মনের ভুলে খবর নিও।

..........................................................................................................


অনুভূতি

✍️জুলফিকার শাহাদাৎ


অনুভূতি নামেই ওকে ডাকি- ডাকতে ভাল

লাগে -

অনুভূতির এমন সাগর

দেখিনি এর আগে।

সে সাগরে উথাল পাতাল ঢেউ

টের পায়না কেউ

আমিই কেবল শব্দ শুনি,

আমার কানে সাড়া -

অনুভূতি জাগিয়ে তোলে

আমার বুকের পাড়া।

অনুভূতির চোখের জ্যোতি বুকের দহন বাড়ায়-

আমার দেহের ষোলকলা।

ইচ্ছেমত নাড়ায়।

অনুভূতির কানে শোনাই ভালোবাসার গান-

তাকে ছাড়া আমার হৃদয়

পুরোটা খান, খান।

..........................................................................................................


তুমি নেই বলে

✍️টিপু আরিফ


ভাল লাগেনা কোন কিছু

এই ঘর,এই মানুষ,এই প্রকৃতি

সব কিছু স্থির নিশ্চুপ লাগে

শত কোলাহলের মাঝে.........,

শুধু তুমি নেই বলে..................!!!

নিথর পাথরের মত

বাকহীন মানবের মত,

ডুবে যাওয়া সূর্যের মত

মেঘে ডাকা চাঁদের মত

নির্জনতায় থমকে গেছে ভালবাসা

শুধু তুমি নেই বলে..................!!!

..........................................................................................................



স্বপ্ন ফুল রঙ 

✍️টিমুনী খান রীনো


সুন্দর স্বপ্ন 

শান্তির ঘুম


ভুল করো

ফুল ছিঁড়োনা


সাদা কালো 

রঙ নয়

তবু তারা 

জয়ী হয়


সরল পায় 

গড়লি

গরল পায় 

সরলি

..........................................................................................................


নিবেদনে প্রথম প্রেম

✍️তনুজা বড়ুয়া


বালিকার চোখ কাঁচা ছিলো, মন বুঝছে বুনোফুল

বুঝতো না সে বুনো ঝোপে কাঁটা এবং কেউটে আছে দুই!

নজরবন্দী তুমি ছিলে , প্রেমের ফ্রেমে আটকানো ছবি তোমার ...

আমি প্রেমে পড়ে যাই, কিশোরীবেলায় মিঠে ভুল হয়না কার?


প্রেমে পড়ে যাই , প্রেমে উড়ে যাই

জলবিছানা আমার ডুবিয়ে দেয়, কাঁটার দহন প্রেমকাঁটায় রূপান্তরিত সুখ

জনম জনমের জাতশত্রু কেউটে শীবের গলায় চড়ে , প্রেম শেখায় গো !

তোমাকে দেখি মুগ্ধ থেকে মুগ্ধতায়

আঁখিজলে ভাসি গোপনে রাত্তির আমার নিরুত্তাপ।

কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে উঠি দ্রুত ছন্দে !

গোপনে তোমার অধর স্পর্শের সুখ চুষে নিই - বলা হয়না!

আমার প্রিয় বইয়ের গোটানো পাতায় তুমি চুম্বক স্পর্শ মেখে রেখেছিলে

বইয়ের ঐ পাতাটাই আমাকে টানতো ...

স্বীকার করি বুকে মেখেছি ঐ পাতা কতো সহস্রবার ...

তুমি কোনদিন বোঝনি, আমিও বলতে গিয়েও নির্বাক , জিভ খসেছে আমার ...


বহুবছর পর – আজ লিখলাম , প্রথম আমার!

তোমার চোখে কি ছিলো ? আমি তো ডুব দিয়ে দেখিনি,

তোমার স্পর্শে কতোটা তীব্রতা তাও জানতে চাইনি ...

ভালোবাসি এই কথা অব্যক্ত থাক

সময়ের মরচে ঢেকে দিক ক্ষত , যে প্রেম হয়েছে গত

সূর্য ঘড়ি উলটো পথে হাঁটে না ...


সব সুন্দর ছুঁতে নেই -

রূপকথার রাজকুমারী ঘুমায় অন্য পুরুষের আশ্রয়ে , জাগিয়ো না তারে !

..........................................................................................................


বিষণ্ণ রাতের কাব্য

✍️তরুণ রাসেল


রাতটা বড় বিষন্ন আজ

চকচকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন শেষে

শরতের আকাশে র“পালী চাঁদ

অদ্ভুদ সৌন্দর্যতায় ছেয়ে চারিপাশ

 

বরফ সাদা শীতল জোৎস্নায়

কী এক র“ক্ষতা বোধ ক্লান্ত করে আমায়

                                    মায়াবী চাঁদের আলোয়

রঙহীন বৃক্ষরা পত্র পল¬ব শাখে

র“প নেয় অজগর দানবীয়তায়

 

ভয়ার্ত আমি ছককাটাহীন সময়ে

নিবিষ্ট প্রযুক্তির কাব্যিকতায়

নিশ্চুপ মুঠোফোন পীড়নে দহনে

দাউ দাউ জ্বেলে দেয় বুকের আগুন

 

অনর্থক অর্থনীতিতে দেই ডুব 

মেঘবালিকার নীরবতায় আমি

অজানা শংকায়

সহসাই হই নিশ্চুপ।

..........................................................................................................



তাল-বেতাল

✍️দীপালী ভট্টাচার্য


ভালোবাসায় কোন খাদ

মেশাতে পারিনি

তাই জতোমা গহণা

তৈরী করা গেল না।

ভালোবাসায় ফরমালিন

ছিটোতে পারিনি

তাই সতেজ রাখা

সম্ভব হলো না।

ভালোবাসায় কীটনাশক

ছড়াতে পারিনি

তাই ভালোবাসায়

পোকা ধরেছে

ভালোবাসার বাগানে

নিড়ানি দিতে জানিনে

তাই অনেক আগাছার

জন্ম হয়েছে

ভালোবাসা ভাদ্রমানের তাল

বড়ই তাল-বেতাল।

..........................................................................................................


আমার একটা পাখি আছে

✍️দেওয়ান আজিজ


আমার একটা পাখি আছে

হলদে রঙের পাখি

ইচ্ছে করে সারাটি দিন

পাখির সঙ্গে থাকি।


মুখখানি তার চাঁদের আলো

হাসি দুলের মতো

সেই পাখিটা নিয়ে আমি

স্বপ্ন আঁকি কতো।


সেই পাখিটা হাঁটে যখন

জড়িয়ে নূপুর পায়

খুশির দোলা দোল দিয়ে যায়

তখন সারাগাঁয়।


পাখির ঠোঁটে মধুর হাসি

ব্যাকুল করে প্রাণ

ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে

হাজার ফুলের ঘ্রাণ।


সেই পাখিটা পাখি তো নয়

সকল পাখির রানি

সেই পাখিটা দেখলে আমার

জুড়ায় প্রাণখানি।

..........................................................................................................


পরষ্পর কদাচিৎ দেখার গল্প

✍️নাজিমুদ্দীন শ্যামল


আজকাল আর আমাদের দেখা হয়না।

যদি কদাচিৎ রাস্তা-ঘাটে কিংবা

হাটে বাজারে দেখা হয়ে যায়;

আমাদের সোনালী দিন গুলো

লুকোচুরি খেলে যায় দুধেল চুলের ভাঁজে।

তারপরও সময় দেয়া হয়না পরষ্পরকে।

সামান্য কুশলাদি বিনিময়,

আর ফিরে আসা ক্রমশ বর্তমানে....

আমাদের যার যার ঘরে।

ফিরতে ফিরতে যে নিঃশ্বাসটি

আমরা বাতাসে বিলিয়ে দিয়ে থাকি

তা ক্রমশ দীর্ঘতর হয়।

কেন যে হারিয়ে যায় পরষ্পর

তা জানা যায়না আর।

কেন যে পারা যায়না অনেক কিছু এই জীবনে

তাও জানা হয়না আর।

তবুও আমরা পরষ্পর কদাচিৎ দেখা করি

তারপর ফিরে আসি বার বার।

..........................................................................................................


আমিও তো পারি যেতে

✍️ফারুক নওয়াজ


যখন ডাকি না আমি তাকে না তোমার কোনো

তাড়া

যখনি ডাকবো আমি তখন তো দাওনা তুমি

সাড়া।

তখনি তোমার হাতে জমে যায় এক গাদা কাজ....

পথ চেয়ে থেকে থেকে বেলা গিয়ে হয়ে যায়

সাঝঁ!

জানিনা, জানিনা আমি.... কেন তুমি লুকোচুরি

খেলো?

তাহলে আমাকে বুঝি স্বেচ্ছায় দূরে তুমি ঠেলো?

তাহলে ধরেই নেবো আমি নেই হৃদয়ে

তোমার .....।

তাহলে তুমিও ভাবো কোনোখানে আমি নেই

আর।

আমিও তো পারি যেতে আঁদারেই লুকিয়ে

যেতে-

তখন করবে তুমি হা-হুতাস আমাকে পেতে!

..........................................................................................................


প্রতিবিম্ব ও ছায়ার প্রতিমায়াবী শূন্যতা

✍️বদরুন্নেসা সাজু


দু’হাত বাড়িয়ে আজো করুণ আঁখি মেলে

অশ্র“ নির্ঝর গন্তদেশ কপোল হাতের তালু ভেজা বালিশ

যৌবনের স্বপ্নালু হৃদয় এখন ক্ষত বিক্ষত

বাস্তুবতার ফোড়ন কাঁটার ঘায়ে রক্তাক্ত

উৎপীড়ন নিপীড়নে কাতর নিপ্পিষ্ট

দাম্পত্য কলহের তিক্ত দিন রজনীর বেদনাহত প্রহর

সোজা সাপ্টা মানুষকে সয়ে যেতে হয়

বন্য মানুষের অত্যাচারে ছাইছাপা অঙার দেহ মন

উদাস চক্ষু পেছন ফিরে অনন্ত তষ্ণায়

সময়ের অস্পষ্ট ধূসরতায় অতীত কেন যে মায়া জাগায়!

তোমার ও কী আছে অপমানের জ্বালা স্বইচ্ছায় দূরে সরে থাকার জন্যে-

প্রতিবিম্ব ও ছায়ার প্রতি মায়াবী  শূন্যতা, দুঃখবোধ?

নিত্য নৈমিত্তিক সংগ্রামের আবর্তে কখনো কী

ঢেউ ওঠে চাহনীর রুপালী কল্লোলে।

লজ্জার আবরণে আড়ষ্ট বিনশ্র এক  সতীর্থের

কালো ভ্রু কী বিষণ্ণ রাতে জেগে ওঠে চাঁদের মতো?

যাকে তুমি বলেছো; বিরহ যে কতো বেদনার

ভালবাসা যে এতো কষ্টের ভুক্তভোগী মানুষই তা জানে!

..........................................................................................................


দহন

✍️বিপ্রতীপ অপু


হৃদয় তল্লাটে তোমায় হারিয়ে খুঁজি মেঘের পাখনায়,

আনকোরা প্রেম বিষ নীলে বাজায়-

হ্যামিলনের মূরালী,

অদেখা কুশপুত্তলিকা দাহ হয় বার বার,

অদৃশ্য চিতায়,

অঝোরে কবিতার আঁকিবুকি কাটি

বুকের ইচ্ছে খাতায়...

..........................................................................................................


শোকপ্রস্তাব

 ✍️বিশ্বজিৎ চৌধুরী


চলো, দুদণ্ড কোথাও বসে কাঁদি...


আজ কি সময় হবে লীলা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান ফাঁকি দিয়ে

জনতা-বিরল কোনো ঘাটে, আমাদের নদীর কিনারে?


কথা হবে কপাল লিখন, আমাদের বিমুখ নিয়তি

আমাদের বিভক্ত জীবন, কথা হবে সুখ-দুঃখ স্মৃতি

আমাদের সব অশ্র“ কর্ণফুলী স্ফীত জলধারা

শৈশব ও কানামাছি, সঙ্গীসাথী আরো ছিল যারা

তাদেরকে মনে করে, চোখ রেখে নদীর ওপারে

দিগন্তে সূর্যাস্ত রঙ, চোখের অসুখ যদি সারে।


জলছবি নিয়ে যেও, আমিও তো ঘরে ফিরে যাবো

কয়েক মুহূর্ত শুধু, না হয় মুহূর্তগুলো আবার হারাবো...।


দুদণ্ড কোথাও বসে কাঁদি, যাবে লীলা? চলো

গত জীবনের জন্য একটিবার শোক সভা হলো!

..........................................................................................................


এখানটাতে

✍️মাহবুবুর রশিদ 


এখানটাতে আছে কোলাহল আছে 

  ছায়াঢাকা

সুনিবিড় জল, এখানটাতে দুঃখ বিলাস করে            

 নাতো কষ্টের চাষ।

এখানে পথিক ক্লান্ত চোখে   

স্বপ্ন দেখে আগামীর রথে,

এখানে আছে না

বলা কথা    

সব পেয়ে ও না পাওয়ার ব্যথা; এখানে আছো একটাই তুমি   

প্রেম

ভালোবাসার উর্বর ভূমি।    

..........................................................................................................


বয়স বাড়ে না আমার কতকাল

✍️মিনা মাশরাফী


আমি লিখে যেতে চাই, হৃদয় তারের আকুল আকুতি

কল্প, কবিতা কত কথকথা, মায়ের øেহ সুধার অমৃতি।


কবিতা আমার বেলকুড়ি বৈভব

দুঃখ আমার অনাস্বাদ অনাঘ্রাত

অনুভবে স্পর্সের আস্বাদ জীবনের উদ্ভাসন প্রয়াস।


হৃদয়ের তারে গভীর কথন, উম্মাতাল সৃষ্টি

মনের ঝলকে অনুভূতির উত্তাল ঝর্না বৃষ্টি

উছল মনে বিন্দু বিন্দু জলে গড়ে উঠে সিন্ধু

আনন্দ বেদনা শব্দের অলষ্কারে সৃষ্টির বিকাশ।


চেয়ে চেয়ে দেখি জেগে উঠি, অষ্কুরিত বিশ্বাসে মন উদগ্রীব

অমৃত তারুন্যের রজনীগন্ধা আমি, ললাটে লাল পলাশের টিপ।

কবিতা আমার বয়োবৃদ্ধির স্রোতকে স্তব্ধ রাখার ঔষধি প্রয়াস।


বয়স বাড়ে না আমার কতকাল

আমি কিশোরী তরনী যৌবনা চিরকাল

তারুন্যের উম্মাতালে লিখে চলি

অবাধ্য বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলি।


অনাচার বেদনা বুকে ধুঁকে ধুঁকে নীলকণ্ঠ বিলাপ নয়

অনিয়ম, কষ্টের প্রতিবাদে ধারালো লেখনী জোরালো কথা কয়।

যুদ্ধ আমার শুভ্র জমিনে বিকট শব্দ বর্ণমালার

জেগে উঠতেই হবে আপন মহিমা নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়।

তাই শুধু লিখে যেতে মন চায়।

..........................................................................................................


অন্যরকম বসন্ত

✍️মিলন বনিক


আমার দক্ষিণের জানালাটা

খোলা রেখেছি কত সুদীর্ঘ সময়,

শুধু বসন্তের দক্ষিণা বাতাসে

ঝড়া পাতার মর্মর ধ্বনি শুনবো বলে।

ন্যাড়া কৃষ্ণচুড়াটা কদিন পরই মেলবে নতুন কুড়ি

গিদন্তের সীমারেখা বরাবর আমার খোকার লাল ঘুড়িটা

সুতো ছিড়ে হেলে দুলে চরে গেলো  বহুদূরে।

শুধু বসন্তের মাতাল হাওয়াটা দোলা দিয়ে বলেছিল-

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।

এলোমেলো পথ চলায় অভ্যস্ত এই আমি

আজও শুনি শুকনো পাতার সাথে

বিরহী প্রিয়ার কণ্ঠস্বর,

সম্ভ্রাম হারা বোনের আর্তনাদ,

সন্তান হারা মায়ের আহাজারী।

অতঃপর আজ এলো এক অন্যরকম বসন্ত।

আমি তোমাকে পেলাম

ভালোবেসে হয়তো শিউলীর মালা গাঁথা হবেনা

বন্ধু হিসেবে পথ চলার সাথী তো হতে পারি

যেখানে তুমি আমি, আমি তুমি

আর আমাদের এগিয়ে চলার সংগ্রাম ॥

..........................................................................................................


রাত্রির উদোম দৃশ্য

✍️মোঃ মজিবুর রহমান


রাত্রির নির্মোক ভেঙ্গে চলে আসে আকাশ

বলে, ঘুমিওনা, আমার তারাদের দেখ,

তারাবাতি ধান ক্ষেত হয়ে,

কত বছর এরা কাটিয়েছে তোমার সাথে।

তোমার মেদহীন মনের গহ্বরে এখনও সেই আমি

পড়ে আছি পদাবলীর মধু চরণ হয়ে।

এরপর আসে পদ্মা, আসে অথৈ ষোড়শীর মত

বলে, আমার জলের সিঁড়িতে নেমে করেছ তুমি স্নান,

তবুও জনান্তিতে রয়ে গেছে তোমার মন।

ভুলেছ কি তুমি, আমার জলের প্রেমাষ্পদি ভালবাসা

আমি যে তোমার এলোমেলো মনের কাটাই নিরাশা।

এরপর আসে যমুনা, রাই যমুনা তটিনী হয়ে

বলে, বিরহ দেখেছ, প্রেম দেখনি, দেখনি প্রেমের ধারা

জীবন দেখেছ, যৌবন দেখনি, আমি যে তোমার প্রেমপারা।

এবার খল খলিয়ে হেসে উঠে চাঁদ, করে আলাপন

বলে, বাংলার আকাশ দিয়ে, বাংলার সিঁড়ি বেয়ে

চলে আসি আমি তোমার চোখের দ্যুতি হয়ে।

দ্যাখ, চোখ মেল, মধু কিরণীর মত, কত মধু নিয়ে

চলে আসি আমি, বাংলার প্রান্তর বেয়ে।

এরপর কানে শুনি মলুয়া সমিরণীর সোঁ সোঁ করা ডাক

বলে, এখনো আছ তুমি ঘুমে, মধু মালতি হয়ে এলাম

বুকে আমার সাত সমুদ্রের ডাক,

আমার গায়ের তাজা পরশ নিয়ে কাটাবে না তুমি মধু রাত?

এবার আমর হৃদয় ভুবনে উঠে আনন্দের ঝড়,

সে ঝড়ে মন নাচে, নাচায় দেহ করে তোলপাড়।

শেষে আমি মোহিত হই, মহুয়ার মত হয় মন

উদোম দৃশ্যের পালা বদলের পালায়

ঘুমের নিদ্রাবতী তখন করে ক্রন্দন।

..........................................................................................................


আকুতি

✍️ মুহাম্মদ ইমতিয়াজ


আমি আমাকে নিয়ে আর ভাবি না

আমার কষ্টগুলো

আর কারো সাথে শেয়ার করি না

ক্ষণিকের ভালবাসা আর চাই না

আমি আমার মতো থাকতে চাই।


ভেবেছিলাম কত, বলেছি তত

যেখানে যে যাক প্রিয়তমা, মন দিয়ে শোন

আজ চুম্বনে কিন্তু দ্বিধা রাখবো না কোন।


বলেছি, চারদিকে নিন্দুকের নিন্দা

অন্যদিকে প্রেমের হাহাকার

কী হবে ভীত হয়ে, সেও তো কদাকার।


এসো কাছে এসো, থাকি তুমি আর আমি সেই

খুঁজি স্বর্গ, যেখানে কলুষতা নেই

ভুলে গেলে সব?

দুঃখিত আমি আমাকে নিয়ে আর বলি না।

..........................................................................................................


কী করে ভাবলে তুমি

✍️ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ


কী করে ভাবলে তুমি, যার  হয়ে গেছি আমি

বদলে গেছি জলবায়ুর মতো

কিংবা টকটকে লাল সূর্য, যখন অস্তমিত হয় প্রতিদিন

আমিতো আর স্লোগান নই

“বদলে যাও’ বদলে যাও”

ভালবাসার একফালি চাঁদ হয়ে

দূর আকাশের নীলিমায় তুমি পড়ে রইলে

অথচ দু’হাত বাড়িয়ে আছি

নিবিড় আলিঙ্গনে আবছাদিত করে দিব

তোমার স্বপ্নের সাতমহল

জোছনামাখা সৌরভে ॥

কী করে ভাবলে তুমি, পর হয়ে গেছি আমি

বদরে গেছি রং ধনুর মত সাত রং –এ

কিংবা মেঘমালার মত যখন ভেসে বেড়ায় সারা ভাসমান

বরং আমি তো একাত্মতা ঘোষণা করেছি

“দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, পৃথিবী বদলে যাবে” এই স্লোগানে

কী করে ভাবলে তুমি, পর হয়ে গেছি আমি

বদলে গেছি গঙ্গা জলের মত সাদা ..... থেকে নিকষ কালোয়

বরং ভিত্র স্বাদের খাঁটি থাকতে চাই একটু ভিন্নতায়

তোমার খুব কাছাকাছি, অনেক কাছাকাছি।

..........................................................................................................


আদি প্রেম

✍️রহমান রনি


পৃথিবীর আদি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তুমি

দেহেতে জড়তা উন্মুক্ত তোমার ওষ্ঠ খানি

কালো মেঘের আড়ালে হৃদয়টা এখন 

                     ভালোবাসার দখলে

বিষাদপূর্ণ হৃদয়ে একের পর এক চুম্বন এঁকে দিলে শরাবের চেয়ে তুমি বেশি নেশাময় 

অবাধ্য মনের আহাজারি সাথে চলছে মাতম 

      এখনই ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ সময়।

..........................................................................................................


অবিশ্রুত বর্তমান

✍️রেজাউদ্দিন স্টালিন


দীর্ঘ এক বিচ্ছিন্নতা

শত বছরের অশ্বারোহী ঘোচাতে পারে না ব্যবধান

আলোকবর্ষ ধরে ছুটে আসা কোনো নক্ষত্রও না

বাতাসের শন শন

পাতায় পাতায় শিশিরের গভীর পতন

এক পদক্ষেপ থেকে আরেক পদক্ষেপ

এক দীর্ঘশ্বাস থেকে আরেক দীর্ঘশ্বাস


হাহাকার তাড়িয়ে ফিরছে সময়কে

আর যন্ত্রণা হৃদয়কে

যদিও স্মৃতি আত্মসংহারক

আর জ্ঞান বিশ্বাসঘাতক

তবুও জ্ঞান আর স্মৃতিই একমাত্র সহায়


দৃষ্টির আলিঙ্গণে ঘোচে না দূরত্ব

হৃদয়ের সুতোয় সেলাই করা যায় না অদৃশ্য


চুম্বনের লাভায় পোড়া ঠোঁট

চুলের শেখড়ে আটকে থাকা আঙুল

আর শেষ দেখার বিষণ্ণ বিকেল


নিরুপায় ফিরে আসতেই হয়

অবিশ্রুত বর্তমানে

যেখানে পায়ের চেয়ে পথের দাম বেশী

এবং স্বপ্নের চেয়ে স্মৃতির

এবং কোন্ শব্দ সঙ্গীতের

আর কোন্ বাণী অমরত্বের

খুঁজতে যাওয়া বৃথা


বিচ্ছিন্নতাই বড় হয়ে ওঠে জীবনের পিঠে

এই অনন্ত শূন্যস্থানে পৃথিবীর সবকিছু মূল্যহীন

একবিন্দু অশ্রুকণা ছাড়া

..........................................................................................................


আকাক্সক্ষা

✍️রেজিনা ইসলাম


আমি তোমার ওই শ্বেত পল্লবিত চোখে 

নদী হতে চাই। স্রোতসিনী নদী -----

তীব্র জলস্রোত ,মৃদুমন্দ ঢেউ 

কখনও একেবেকে যাওয়া ,প্রখর রৌদ্রতাপ

লুটোপুটি খাওয়া জলতরঙ 

কিংবা অরনী জোৎসনার আলোতে 

কৌমদী রাতের ঝলসানো 

নদীস্নাত ভালবাসা -----


তুমি অনুভব করবে প্রবল উদ্দামে 

তোমার ক্লাসিক হৃদয়ে 

ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে গেছে 

আমার উপচে পড়া

জল বুদবুদ মন ,সত্ত্বা। 

আর এই প্লাবিত মন 

অহর্নিশ ওই হৃদয়ে ছন্দবদ্ধ হিল্লোল তুলবে। 


শ্বাশত ভালবাসার নুরিগুলো 

পুঞ্জিভূত হবে ,হৃদয়ের আনাচে কানাচে। 

আর আমার নিটোল পরিপূর্ণ মনের জলোচ্ছাসে 

এবং হৃদ্যতার সৌহার্দময় সমাবেশে 

তুমি হয়ে উঠবে 

বেদনাহীন হৃদয় স্ফোটক।

..........................................................................................................


অন্তঃকরনে রক্তক্ষরণ 

✍️ সাহিদা রহমান মুন্নী


অনেক কথা মালার পসরা সাজিয়ে,

আমি কেবলই তোমার প্রতিক্ষায় পথ চেয়ে থাকি হৃদয় দেউড়ির পুরোটাই খুলে, হয়ত এখনি শুনবো তোমার চলার মৃদু ছন্দ! পৌষের হীম বাতাস বয়ে আনবে তোমার পরিশ্রান্ত শরীরের মৌ মৌ সুবাস! তুমি আসবে বলে, এলো চুলে মেখেছি সুগন্ধি তৈল, আলতা পরেছি পদ্ম দুটি পায়ে, নাকে নোলক, কপালে দীঘল টিপ, আর তোমার যা খুব পছন্দ; হাতভর্তি বেলোয়াড়ি চুড়ি.......

আমি শুধু অপলক নয়নে সদর দুয়ারে চেয়ে আছি, তোমাকে দেখার এতটুকু আশায়! জ্বলতে জ্বলতে নিভে গেল পিদিম, আবার জ্বালালাম, আবারও নিভে গেল! হঠাৎ এ অন্ধ্যকারে বুঝতে কষ্ট হলোনা তুমি এসেছো! বাধভাঙা উচ্ছাসে তোমার কাছে যেতেই, রক্তের গন্ধে মুহুর্তেই øান হয়ে গেল আমার চুলের সুবাস! ক্ষসে গেল কপালের টিপ্! কিছু লোক বাড়ির উঠোনে শোয়ালো তোমার নীথর শরীর! তুমি তো কথা দিয়েছিলে, আমায় নিয়ে যাবে তোমার দেশে তোমার সাথে! চলে যাওয়া বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠল বাড়িময়, শুধু অন্ধকার হয়ে গেল আমার পুরোটা জীবন! কে দেখবে আমায় এ বাহারী সাজে! কে গুজে দেবে দীঘল কেশে বেলী ফুল!

তোমার আশায় পথে আর কতকাল পথ চেয়ে চেয়ে অন্তঃকরনে রক্তক্ষরণ অবারিত ধারায় ঝড়ে যাবে অবোধ এ মানব পুন্ডলীর দেহরস শুষে শুষে মরুর এ ধরাধামে।

..........................................................................................................


আমি তো যাবো 

✍️ সুলতানা রিজিয়া


যেতে তো চাই, যাবো বল্লেই কি আর যাওয়া হয়!

পথ সেতো আপন খেয়ালে বিছিয়েই রয়-

শুধু যাওয়ার ইচেছটা মনে নাড়া দিলেই হলো,

ইদানিং মনে কোন ইচেছরা খেলা করে না,

ঘরে বাইরে হামেশায় ওৎ পেতে থাকে

সন্ত্রাস,রাহাজানি, চাঁদাবাজী ছাড়িয়ে গুম খুন

বারুদের গন্ধ ঢেকে দেয় লাশের দুর্গন্ধ

তরতাজা যুবক ঘরে ফেরে পংগু হয়ে-নয়তো

পথের ধূলোয় পরে রয় রক্তের ধারায়-

পাথিরা উড়ে পালালেও পালাতে পারে,

বন্দুকের তাক থেকে পালাতে পারে না

অসহায় মানুষ যখন তখন লুটায় পথের বুকে।

লাশ পড়ে রয়,জনতার স্রোত দাঁড়ায় না।


যানবাহন লুটে নেয় কত জান বেপরোয়া চালে,

আইনের ফাঁক গলে বেরোয় বীরদর্পে,হয়না সাজা

তাই আপন স্বভাবে রক্তের নেশায় ধরে স্টিয়ারিং।

খেলার মাঠে ছদ্মবেশে ঘোরে লম্পট,মাতাল-

ডাকে-ও খুকি লেবনচুশ খাবে? অবুঝ শিশু

হাসি মুখে আদর পেতে বাড়ায় দুইহাত

পাষন্ডরা ছোট্ট দেহের অলি গলি খুঁড়ে

হাসি মুখে এঁকে দেয় মৃত্যুর বিভিষিকা.

তাদেরও হয়না ফাঁসি,কিংবা কারাদন্ড।

 

যেতে তো চাই,যাবো কোন পথে,কোন মাঠে

বুকের মাঝে কেবলই উথাল পাথাল শঙ্কা

যেতে তো চাই, যাবো কোথায়? একবার

বাড়ালে পা চেনা পথে পারবো তো ফিরতে?

..........................................................................................................


পরাজিত বন্য 

✍️সুমনা সুমী


আমাকে রাতের আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে -

সমস্ত স্বপ্নগুলোকে গোপন ক্যামেরার মত

ধারন করে মাথার বালিশটা ,

বেশ দিব্বি আলাভোলা সেজে ,

সে এখন গোছানো -- !

ছিঃ কত কিছু ছিলো সে স্বপ্নে ---

শরীর ছিলো অর্ধনগ্ন নাকি প্রিয়োর চুমেতে ছিলাম অশ্লীল -

আদরে আদরে ভুলেছিলাম কি নিজেকে -- !

আমি ভুলে গেছি -হায় !

আমি ভুলে গেছি ----

প্রিয়ো এসেছিলো কোন দরজায়  !

জানি আমাকে আর সে বলবে না

তাকে এখন তুলো ধুলো করেও

আর কিছু ফিরে পাওয়া যাবে না আমি জানি  !  

আমি এও জানি এখন বালিশে বালিশে সেটা

ছড়িয়ে যাবে ---সারা পৃথিবী -

ফেসবুক থেকে টুইটার  !

এখন পিছু নিয়েছে দুরন্ত রোদ

আমি তাকেও জানি

আমার সারা দিনের সমস্ত সময় গুলোকে

চেটেপুটে খেয়ে সেও ডুব দেবে এক সময়

আমাকে বিষণ্ণ করে    !

..........................................................................................................


শেষ অঙ্ক

✍️ সৈয়দ আহমদ আলী আজিজ 


আমার হৃদয় পুষ্পবনে

বেঁধেছ বাসা তুমি কোন খেয়ালে অন্যমনে

আপনারে ভুলে হেয়ালী নদীর মতন

দিয়াছ রঙ্গীন আত্মবিষর্জণ

সৃষ্টি করে দুই তীরে মহাঝঞ্ঝাট

এ কোন তীর্থযাত্রা জ্যেতির্ময় বিভ্রাট?

দিগন্তের পর দিগন্তে ছুটে চলা

এ কি শুধু নিছক ভালবাসার গল্প বলা?

না কি অন্য কিছু?  অণুরাগের অর্ঘ্য?

ধরণীতে  রচিতে চাও যুগান্তকারী প্রেমস¦র্গ,

জীবনের সঞ্চারী আশা দুই কূলে 

এসেছ কি তুমি? না কি পথ ভুলে?

বিচ্ছুরিয়া আলোর বর্ণস্রোত

শেখালে তুমি জীবন চলার নবপথ

ওগো জ্ঞানতপসি¦ণী নদী

তুমিই করেছ সৃষ্টি মহাজলধী

এ কি কলঙ্ক সর্বনাশা?  অমরাবতীর গান?

এক অজানা প্রেমের গোপন উপাখ্যান

না দেবতার তীর্থ মন্দির

আছি তাই চঞ্চল অনির্বাণ অধির

যাই হোক, থেকো তুমি থেকো চিরদিন

ঋণীই করেছ যখন, আরও বাড়াও ঋণ

রিক্ত করনা কখনো  হেয়ালীর বেশে।

তোমাকেই পেতে চাই সব অঙ্কের শেষে।।

..........................................................................................................


ভালোবাসার পরশ

✍️মো. হারুন অর রশিদ 


তোমার ভালোবাসায় উজ্জিবিত হই

হারিয়ে যাই সুখের সাগরে

তোমার স্পর্শে হৃদয়ের স্পন্দন জাগে 

শিহরিত হই পুলকিত হই 

মহিমায় উদ্বেলিত হয় হৃদয় আঙ্গিনা। 

অনন্ত ভালোবাসার সংস্পর্শে 

হৃদয়ে দোল খায় বসন্তের আবির ছড়ায়

কোকিলের কুহুতানে মোহিত ভুবন।

ভালোবাসার  উত্তাল সঙ্গমে 

সুখের আবেশে হৃদয়ে ঝড় ওঠে  

আবেগে আপ্লুত হই 

প্রাণের মাঝে সঞ্চারিত হয় 

আশার আলো, প্রেরণার উৎস

শুধু তোমার ভালোবাসার পরম পরশে।

আঁধারের মাঝে আলোর ঝলকানী 

শুকনো ডালে নতুন কুঁড়ির আবির্ভাব 

শুধু তোমার স্নেহের ছোঁয়ায় 

সবুজ ডগার মত সতেজ হই 

শুধু তোমার ভালোবাসার আবেশে।   

..........................................................................................................


লিরিকগুলো প্রেমের

✍️ হাশিম মিলন


এক.


প্রথম দেখার সেই শুভক্ষণ

আজো লেগে আছে চোখে,

দ্বিতীয় দেখায় হারিয়েছে মন

অচিন স্বপ্নলোকে...।


দুই.


তোমার সাথে একটু কথা হোক 

একটু না হয় শুনি প্রেমের সুর,

পাখি হয়ে উড়তে চায় এ মন 

তোমার মোহন হৃদয় অন্ত:পুর।


তিন.


আজ সারাদিন মেঘলা আকাশ

আমার ভীষণ জ্বর...

এমন দিনে তুমি নেই পাশে

বেচঈন অন্তর।


চার.


বুকের ভেতর দহন জ্বালা জ্বলছে জ্বলুক

কী এসে যায় কার?

প্রেমানলে পুড়ছি একাই, পুড়ে পুড়ে-

হই শুধু ছারখার।


পাঁচ.


ভালোবাসি বলে, এই মনে আজ

ঈর্ষা করেছে ভর;

কারো সাথে যদি তুমি কথা বলো

ভেবে নিই, তুমি পর।

..........................................................................................................


প্রত্যাবর্তন 

✍️হোসনে আরা আলম


তোমাকে ফিরতে হবে

ফিরতেই হবে

আমার  স্হানেহাসিক্ত বুকের পাখায়

আমার মনের পাতায় পাতায়,

প্রতিটি পরতে পরতে, যেখানে বুভুক্ষু হৃদয়

মাতৃরসে খেলা করে।

তুমি এক সুশীল বালক,

কোথায় হারিয়ে গেছো জানিনা, জানিনা।


সেখানে কি ভোরের আলো

এমনি শীতার্ত সকালে শিশিরের বুকে খেলা করে।

হাঁটছো কি তুমি ভোরের মাঠে স্নিগ্ধ হেমন্ড সকালে !

আমি জানিনা,

আমি জানিনা তুমি কোথায়। ভুলে গেছ তুমি পৃথিবীকে

এই পৃথিবীর মাটিকে।


কিন্তু-

আমি এই মাটিতেই শিহরিত নদীর শীতার্ত সুবাসে

রাতভর কুয়াশার অস্বচ্ছ অন্ধকারে

প্রতি নিঃশ্বাসে প্রতি পলে পলে

আমার নিশ্চুপ সংলাপ; একাকী বলে যাই নিজের অজান্তে

এখনও

অপেক্ষায় আছি তোমার প্রত্যাবর্তনের।


হয়তো আবার আসবে ফিরে তুমি, অন্যরূপে অন্য কোনখানে

আজও তাই-

এই মাতৃহৃদয় খোঁজে, শুধু তোমাকেই খোঁজে

জনান্তিকের ভিড়ে ভিড়ে।

..........................................................................................................


অনুদিত রুশ কবিতা


মানবসমাজ

✍️ স্টিফেন শিপাচেভ 


মানবসমাজ আমার মতে জাতিগোষ্ঠীর এক নদী

আমি আমার দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি

ঠিক যেন সাগরের দিকে বয়ে চলেছে

ছন্দোবদ্ধ তরঙ্গের মতো, ঢেউয়ের পরে ঢেউ, বিশাল এবং মুক্ত,

ছিটকে পড়ছে-আওয়াজ তলছে.....বিচিত্র ধ্বনিতে

সাগরের পথ হয়তো এখনো অনেক অনেক দীর্ঘ

কিন্তু নদী বয়ে চলেছে, আপন গতিতে

এবং আমি কখনো বিশ্বাস করব না

এত শক্তিশালী যে স্রোতোধারা

আমার মামুলি গানের মতো তা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে।

..........................................................................................................



শূণ্যগর্ভ শব্দাবলি

✍️ আলেকজান্ডার ইয়াসিন 


আমরা মূল্য দেই এমন কোনো বস্তু নিয়ে

আমরা যখন কথা বলি, যে বস্তুকে আমরা

সবার ঊর্ধ্বে স্থান দেই, তখন আমরা যেসব

শব্দ টেনে আনি তা হচ্ছে

মাতৃভূমি

আনুগত্য

বন্ধুত্ব....

ইত্যাকার শব্দ

না, এসব শব্দ নিছকই কোনো শব্দসমষ্টি নয়

এসব শব্দ শূন্যগর্ভ শব্দাবলি

এবং তা যদি নিছকই নির্দোষ শব্দ হত

তাহলে আমাদের আজকের দুঃখ-কষ্টের

অনেক কিছুই থাকত না, এবং বিলীন হয়ে যেত

অনেক মর্মবেদনা-কেননা, এসব শব্দ শুধু শব্দ নয়

এসব, শুন্যগর্ভ শব্দসমষ্টি।

অনুবাদকঃ সংগৃহীত


.......................সমাপ্ত.......................


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.