Header Ads

মোঃ তৌফিক ভূইয়া রিপন

 


কুয়াশাচ্ছন্ন সু বিহান

 

কুয়াশায় আচ্ছন্ন  সু বিহান

চতুর্দিক সুনসান সুনসান 

ভোর বিহান নিস্তব্ধ প্রকৃতি 

ঘুম থেকে জেগে ওঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।


আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম মধুর সুরে, 

 মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে সুরেলা আজান আসে ভেসে। 

আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় মুমিন বান্দা নামাজে রত,

ভোর বিহানে যায় শোনা মোরগের কণ্ঠ। 


সৃষ্টির সেরা করে মোদের করেছেন সৃষ্টি, 

দিয়েছেন মোদের প্রখর দৃষ্টি। 

সুন্দর এ দুনিয়াটা আল্লাহর দান, 

মোরা করি আল্লাহ রাসুলের গুণগান। 


আড়মোড়া খেয়ে জেগে ওঠে সব ফুলেরা,

 শীতল বাতাসে নড়ে উঠে সবুজ পাতারা। 

প্রজাপতিরা হাই তুলে পাখা মেলে যাই উড়ে

আবাস ছেড়ে পাখিরা  আহারের সন্ধানে।


বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি,

যশোর জেলা আমার আবাসভূমি। 

পুঞ্জে পুঞ্জে অলিদের গুঞ্জন চতুর্দিকে ,  তপন উঁকি দেয় পূর্ব গগনে।


কি সুন্দর সৃষ্টি কর্তার  বিধান, 

আঁধার কেটে উদিত হয় আলোর নিশান।

শুকরিয়া শুকরিয়া  ওগো মহিয়ান,

ক্ষমা করো মোদের রহমানুর রহমান।

.............................................................................

মনে পড়ে তোমাকে 


হিমেল  বাতাস  বইছে,

হালকা হালকা ঠান্ডা লাগছে।

ঠাণ্ডায় শ্বাস প্রশ্বাস বাড়ছে,

তোমার কথা খুবই মনে পড়ছে।


জীবন চলার পথে, 

থাকিতে চাহি তোমারই সাথে। 

সকাল বিকাল সন্ধ্যঁাসাঝে,

আকাশ কুসুম ভাবি তোমাকে নিয়ে। 


থাকো যদি আমার সাথে, 

ভালবাসায় দিবো রাঙ্গিয়ে। 

স্নেহের ছোয়ায় থাকবে, 

ভালবাসার গভীর আবেশে। 


আছো তুমি মনের গহীনে, 

মনে হতেই রোমাঞ্চ জাগে।

পিঠা পুলি শীতের দিনে, 

মিশে আছো তুমি হৃদয়ের সাথে। 


প্রতিটি শ্বাস নিঃশ্বাস, 

হৃদয়ের গহীনে যে তোমারই বসবাস। 

ভালবেসে যে করেছি দান,

ভালবাসায় পরিপূর্ণ এ প্রাণ। 


যেওনা চলে দুরে,

থেকো মোর সাথে।

ভালবেসে ভালবাসা দিয়ো ভরিয়ে, 

স্নেহের ছোয়ায় বুকেতে রেখে মাথা যেও ঘুমিয়ে।

.............................................................................

কৃষ্ণনগর গ্রাম


 কৃষ্ণনগর গ্রাম মায়ের কোলেতে আমি জন্মেছি 

তোমার ধুলোর লুটোপুটি খেয়ে মায়ের বোল শিখেছি। 

সেথায় কেটেছে আমার শিশু কিশোর বেলা,

হাসি আনন্দে কেটেছে সময় করেছি যে কত খেলা। 


কত  ছিল প্রিয় কত যে আপন,

 মনে পড়ে সেই মধুর স্মৃতি ক্ষণ। 

মধুময় সেই দিন গুলি কেমনে ভুলি,

ফেলে আসা সেই স্মৃতিমাখা দিনগুলি।


শষ্য শ্যামল সবুজে ভরা প্রান্তর থেকে প্রান্তেরে,

উঠিতাম জেগে পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজে। 

শুনিতাম মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজানের সুর, 

মাঝে মাঝে পেতাম শুনতে রাখালের করুণ সুর।


গ্রাম মাঠঘাট প্রান্তর উড়াইতাম ঘুড়ি,

সঙ্গীদের সাথে খেলেছি কতই না লুকোচুরি। 

খেলেছি যে কতো গ্রাম্য খেলা,

মাঝে মাঝে স্কুল মাঠে বসতো গ্রাম্য মেলা।


ডাংগুলি দাড়িয়া বাঁধা গোল্লাছুট কানামাছি, 

ফেলে আসা দিনগুলি এখন শুধুই স্মৃতি।

রাখাল ছেলে ছুটে চলেছে মাঠের পানে,

চাষী গাইছে ভাটিয়ালি গান আপন মনে।


মাঠ ভরা পাকা সোনালী ধানে,

কাস্তে হাতে কৃষক চলেছে মাঠের পানে। 

গোলা ভরবে সোনালী ধানে,

 নবান্নের আয়োজন প্রতি ঘরে ঘরে। 


পাড়া পড়শি আত্মীয় গ্রাম্য স্বজন,

ওরা একে অন্যের কতো যে আপন। 

মায়া মমতায় জাপটে ধরে  করে জড়াজড়ি, 

গল্পের সাথে পায়ের তালে চলছে যে ঢেকি।


মিলে মিশে আছে সকলে নয় তো কেউ পর,

 সুখটুকু খুঁজে নেয় ভালবাসা মায়া মমতায়।

ভুলি নাই তোমাকে তুমি আমার প্রিয় গ্রাম,

হৃদয়ে মিশে আছে যে তোমারই নাম।


কোন মতে আছি বেচে শহরের বন্দী দশায়, 

 তোমারই কোলে ফিরবো আছি অপেক্ষায়। 

সেই দিন আমায় তুমি নিয়ো কোলে তুলে,

এক মুঠো ধুলো আমার অঙ্গে দিও মেখে।

.............................................................................

হায়রে বাঙালী জাতি 


ইংরেজি নিয়ে করি মাতামাতি,

জাতিতে আমরা বাঙালী 

একুশ আর বৈশাখ এলে

বাঙালী সাজে সকলে।


বাংলা ভাষার চর্চা হয়না সবখানেতে,

হাইকোর্টের নির্দেশনাও চাইনা মানতে।

সবখানেতে মাতৃভাষার চর্চা রাখতে,

এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।


ইলিশ আর পান্তা খেয়ে,

 হৈ হুল্লোড় করে পহেলা বৈশাখে। 

৩১শে ডিসেম্বর এলে,

মধ্য থেকে সারারাত ডি জে পার্টি করে।


উর্দু হটিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে বাংলা 

প্রাণ দিয়েছিলো রফিক বরকত প্রমুখেরা

তাদের আাশা উদ্দেশ্য হয়নি পূরণ 

দিতে পেরেছি কি তাদের  যথাযোগ্য সন্মান?

.............................................................................

ঘুরে এলাম কুয়াকাটা


স্বপ্ন কন্যা কুয়াকাটা, 

সূর্য ডোবা আর উঠা।

প্রাকৃতিক  সৌন্দর্যের কুয়াকাটা, 

দেখে এসেছি পরিবারের সদষ্যরা।


ফজরের নামাজ আদায় শেষে,

গিয়েছি সাগর কন্যার ধারে।

আকাশটা আছে কুয়াশায় ঢেকে, 

ভাবনায় এলো পাবো না হয়তো দেখতে।


ভাবতে ভাবতে সময় যায় গড়িয়ে, 

সময়ের সাথে কুয়াশাও যায় সরে।

পূর্ব গগনে সূর্য উঠছে,

 রাঙ্গা আবির  ছড়িয়ে।


সুু প্রভাতের হিমেল বাতাসে 

সাগর কন্যার জলে পা ভিজিয়ে। 

সু সকালের হিমেল জলে,

সোনালী সূর্য দেখিলাম  দাঁড়িয়ে।


সকালের নাস্তা শেষে, 

চলেছি এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

রাখাইন পল্লী থেকে, 

লাল কাকড়ার চরে।


দুপুরে নামাজ আদায় শেষে,

সাগরের টাটকা মাছ নিলাম কিনে।

রান্না করতে গেলাম বলে

 ঝাউ বাগান  দেখতে। 


মচমচে মাছের ভাজি কোড়ালের, 

মজাদার মাছের ভোনা লাক্ষ্যার।

আনন্দঘন অন্য এক পরিবেশে,

 মজাদার রান্নায় দুপুরের লাঞ্চ নিলাম সেরে


বিশ্রামের সাথে অপেক্ষা সেই সময়ের জন্য, 

দিনের অনুভূতিটা ছিলো এক রকম অন্য। 

আনন্দের সময়টুকু পার হলো অতি দ্রুত,

কুয়াশার কারণে দেখা হলো না সূর্য অস্ত।


.............................................................................

আপনাকে বলছি


 মনকে যদি না রাখতে পারেন ঠিক, 

     কেনো যাবেন কাবা  শরিফ। 

      নিত্য ঠকান পাওনার কে, 

        জানেন কি তা আপনে?


আল্লাহ আমার উদ্দেশ্য, 

রাসুলুল্লাহ সাঃ আমার আদর্শ। 

আল্লাহর রহমত যদি পেতে চান,

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শ মেনে যান।


আল্লাহ টাকা সকলকে দেন না,

কাবায় সকল কে নেন না। 

যিনি থাকেন নেক নজরে,

তিনিই পারেন যেতে কাবা শরিফে। 


গিয়েছেন যখন কাবা শরিফ, 

জিয়ারত করেছেন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওজা শরীফ ।

পবিত্র স্থান থেকে এসে ঘুরে, 

অন্যের হক নষ্ট করেন কোন অধিকারে? 


আল্লাহর রহমত দ্বারা সমাজপতি হয়েছেন, 

দিনের পর দিন অন্যের হক নষ্ট করেছেন।

অনেক তো চললেন কু পথে,

সময় ফুরাইবার আগেই আসুন ফিরে সুপথে

.............................................................................


তোমাদের কে বলছি


আমার ধর্ম ইসলাম আমি করি লালন,

তোমাদের ধর্ম তোমরা করো পালন।

আমারা তো কখনো দেয়নি তোমাদের কে বাঁধা, 

জবাব চাই মুসলিম জাহানের মনে কেনো দিলে ব্যাথা?


ভালবাসো তোমরা উলঙ্গ অর্ধ উলঙ্গ থাকতে,

কেনো বাধা দাও আমাকে হিজাব পরতে।

তোমাদের ভক্তি জয় শ্রী রামে,

আমাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ভালবাসা রাসুলে করিম (সঃ) কে ঘিরে। 


আমরাও মানুষ তোমরাও মানুষ তবে,

একই আল্লাহর সৃষ্টি ষখন সকলে।

কেনো করলে এই জঘন্য হিংসার সৃষ্টি, 

মুসলিম জাহান ফুসে উঠেছে বিশ্বব্যাপী।


আমাদের নেতা রাসুল সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ  এক মানি সকলে,

তোমাদের নেতা হরেকজনে সৃষ্টি কর্তা মানো কাকে?

আল্লাহু আকবর বলে আমরা দিই শান্তির ডাক, 

হরি- হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে তোমরা গেয়ে যাও তোমাদের গান।


আমাদের ধর্ম পালনে তোমরা দাও কেনো বাঁধা?

তোমাদের ধর্ম পালনে সর্বক্ষণ তো পেয়েছো আমাদের ছায়া।

আল্লাহু আকবরের বলিয়ানে সকলে যদি ওঠে জেগে, 

পালানোর পথ পাবেনা কেহ তোমরা সকলে।

.............................................................................


মিথ্যা পুঁথির বিজয় মালা 


যত্রতত্র সত্য  কথা 

বলতে আছে মানা,

মিথ্যা কথা ছলে বলে

নিত্য দিচ্ছে হানা।


চোখে আঙুল দিয়ে যদি কাউকে 

দেখিয়ে দাও কিছু,

কর্ম ফেলে সে ক্ষতি করতে 

নেবে তোমার পিছু।


দরদী  মশাই উচ্চকণ্ঠে বলেন 

শুনুন যাহা বলি,

আসুন সবে সত্য পথের

পথিক হয়ে চলি।


বয়ান পাতি পরের বেলায়

নিজের বেলায় খুজেন স্বার্থ, 

মিথ্যা পুঁথির মালা গেঁথে নিজের 

পকেটে ভরেন অর্থ। 


ছদ্মবেশীর সত্য যতো

রূপটি ফেলে খুলে,

মিথ্যে দিয়ে আসর মাতায়

হেলে দুলে তর্জনী আঙুল তুলে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.